কক্সবাংলা রিপোর্ট(২২ মার্চ) :: ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর সংঘটিত গণহত্যার নতুন তথ্য উঠে এসেছে ১৯৭১ গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের জরিপে।
ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন জানিয়েছেন-কক্সবাজার জেলায় মুক্তিযুদ্ধে ১৯৫টি গণহত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা সংগঠিত হয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান মিলনায়তনে গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে গণহত্যা-বধ্যভূমি ও গণকবর জরিপ শীর্ষক দিনব্যাপী জাতীয় সেমিনারে এই তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
এ পর্যন্ত কক্সবাজার সহ ২০ জেলার গণহত্যার পূর্ণাঙ্গ জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশের গণহত্যার ফল প্রকাশ করছে গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও ট্রাস্ট।
সেমিনারে জগন্নাথ বড়ুয়ার জরিপে কক্সবাজার জেলার ১৯৫টি গণহত্যা, ২০টি বধ্যভূমি, ২৯টি গণকবর, ২৩টি নির্যাতন কেন্দ্রসহ ২৬৭টি গণহত্যা ও নির্যাতনের নিদর্শনের উল্লেখ রয়েছে।
অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন সেমিনারে বলেন, “গণহত্যার রাজনীতি আছে। একাত্তরে পাকিস্তান এই রাজনীতি করেছিল আমাদের দমন করার জন্য, চিরদিনের জন্য আমাদের কলোনি করে রাখার জন্য।”
আর এখন ‘বিএনপি-জামাত চক্র’ গণহত্যা নিয়ে রাজনীতি করেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও পরে তার স্ত্রী খালেদা জিয়া, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ একাত্তরের গণহত্যার বিষয়টিকে বিস্মৃত করে দিতে চেয়েছেন।
“তারা গণহত্যার বিষয়টি মুছে দিতে চেয়েছেন। কারণটা হচ্ছে, গণহত্যার বিষয়টি থাকলে তাদের রাজনীতি থাকে না। কেননা তারা পাকিস্তানি ধারায় পাকিস্তানি এজেন্ডা পরিপূরণ করার জন্য রাজনীতি করছিলেন। গণহত্যার কথা থাকলে আল বদর, আল শামস বা রাজাকার বা অন্য যারা কাজ করছে, যারা এই খুনের সঙ্গে যুক্ত তাদের কথা চলে আসে।”
গণহত্যার দায়ে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করলে দেশে ‘জাতীয় ঐক্য‘ ফিরে আসবে বলেও মন্তব্য করেন মুক্তিযুদ্ধ গবেষক এই ইতিহাসবিদ।
গণহত্যা-বধ্যভূমি ও গণকবর জরিপ শীর্ষক সেমিনারের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
Posted ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৩ মার্চ ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta