কক্সবাংলা ডটকম(২০ অক্টোবর) :: বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন গুলির মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফেসবুক মালিকাধীন WhatsApp। বিশ্বজুড়ে ৫ বিলিয়নের বেশি ব্যবহারকারী ডাউনলোড করে ফেলেছে এই অ্যাপ্লিকেশন। যদিও এর মধ্যে অধিকাংশ ব্যবহারকারী দক্ষিণ এশিয়ার। তবে WhatsApp এ কে এবার সরাসরি টেক্কা দিচ্ছে আরেক মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম Telegram।
যত সময় এগোচ্ছে ততই তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করছে এই মাল্টি ফিচার অ্যাপ্লিকেশনটি। ২০১৩ সালে পাভেল দুরভ এবং নিকোলাই দুরভ দুই ভাই মিলে এই অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে এবং সেই বছর অফিসিয়ালি iOS এবং অ্যান্ড্রয়েড ভার্সনে লঞ্চ করা হয়। শুরুর দিকে তেমন সাড়া না ফেললেও ক্রমে নিত্য নতুন ফিচারের মাধ্যমে অল্প বয়সীদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এটি।
Telegram এর এমন উত্থানের কারণ-
সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বজুড়ে ফেসবুকে যে বিভ্রাট দেখা গিয়েছে তাতে অধিকাংশ ব্যবহারকারী বিকল্প অপশন বেছে নিয়েছেন। আর সেই তালিকায় প্রথম সারিতে রয়েছে Telegram। এর একটা কারণ এটি একটি ওপেন সোর্স প্ল্যাটফর্ম। হোয়াটসঅ্যাপের মতোই এই অ্যাপ্লিকেশনে একাধিক কাজ করা যায়। ক্লাউড বেসড এই প্ল্যাটফর্মটিতে চ্যাটিং, গ্রূপ ক্রিয়েট করা, ভিডিও/অডিও সব রকম অপশনই উপলব্ধ রয়েছে।
Statista এর পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের মার্চ এবং এপ্রিল মাসে ৩৬ এবং ২৬ মিলিয়নবার ইন্সটল করা হয়েছে এই অ্যাপ্লিকেশনটি। বিগত সময়ে একাধিক ভবিষত্ প্রযুক্তির ওপর কাজ করে চলেছে Telegram। এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই মুহূর্তে ৫০০ মিলিয়নেরও বেশি অ্যাক্টিভ ইউজার রয়েছে Telegram এর।
প্রসঙ্গত, গ্লোবালি ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রাম বিভ্রাটের সময় প্রায় ৭০ মিলিয়ন গ্রাহক অ্যাড করতে সক্ষম হয় Telegram যা অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের তুলনায় রেকর্ড ব্রেকিং। তবে গুগল প্লে স্টোরে ১ বিলিয়ন মাইলস্টোন স্পর্শ করলেও এখানেই থেমে থাকতে চান না পাভেল দুরভ। আগামী দিনে ইউজার ফ্রেন্ডলি বিভিন্ন ফিচার এবং স্পেসিফিকেশনের ওপর কাজ করে চলেছে অ্যাপ্লিকেশনের নির্মাতারা। তাই বলা যায় খুব শীঘ্রই WhatsApp এর বাজারকেও ধরে ফেলতে পারে এই মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন।
