কক্সবাংলা ডটকম(১৬ আগস্ট) :: ভারতীয় বিমান বাহিনী (আইএএফ)-কে ১১০টি জঙ্গিবিমান (এফ/এ-১৮ সুপার হর্নেট) সরবরাহের ঠিকাদারী পেতে হিন্দুস্তান এরোনটিক লিমিটেড (এইচএএল) ও মাহিদ্রা ডিফেন্স সিস্টেম (এমডিএস)-এর সঙ্গে অংশীদারিত্ব চুক্তির ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে বোয়িংয়ের এফ/এ-১৮ ও ইএ-১৮জি প্রগ্রাম ম্যানেজার ড্যান জিলিয়ান ইকনমিক টাইমস পত্রিকাকে বলেছেন যে তার কোম্পানি একটি স্কি জাম্প থেকে সুপার হর্নেট এয়ারক্রাফটের উড্ডয়নের সিম্যুলেশন সম্পন্ন করেছে এবং কোন বড় রকমের পরিবর্তন ছাড়াই এই এয়ারক্রাফট পর্যাপ্ত পেলোড নিয়ে উড্ডয়ন করতে পারবে।
মার্কিন নৌবাহিনীর একটি স্কি জাম্প-এর মাধ্যমে এফ/এ-১৮ পরীক্ষা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
জিলিয়ান বলেন, আমরা ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রশ্নের জবাব দিয়েছি এবং সিমুলেশন বিশ্লেষণ করা হয়েছে। কোন এক সময় আমরা মার্কিন নৌ বাহিনীর স্কি জাম্প থেকেও উড্ডয়নের পরীক্ষা করবো। আমরা স্বস্তি অনুভব করছি এই ভেবে যে, অর্থবহ ও তাৎপর্যপূর্ণ পেলোডসহ পরীক্ষায় পাস করেছে এয়ারক্রাফট।
ভারতের পরবর্তী বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্তের জন্য ৫৭টি নতুন জঙ্গীবিমান সরবরাহের চুক্তি লাভের জন্য অন্যান্য কোম্পানির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে বোয়িং। সার্ভিস থেকে মিগ-২৯কে জঙ্গিবিমানগুলো বিদায় করতে পারে সুপার হর্নেট। মিগের ইঞ্জিন ও ইলেক্ট্রনিক কন্ট্রোল সিস্টেমে সমস্যা রয়েছে।
বোংয়িং ভারতে একটি এফ/এ-১৮ সুপার হর্নেট উৎপাদন করাখানা স্থাপনেরও প্রস্তাব দিয়েছে। জিলিয়ান ব্যাখ্যা করে বলেন, আমরা ভারতে নতুন প্রজন্মের কারখানা স্থাপন করা নিয়ে আলোচনা করছি। আমরা মনে করি ভারত উৎপাদন করতে পারবে এমন সবচেয়ে আধুনিক এয়ারক্রাফট হবে সুপার হর্নেট।
তিনি আরো জানান যে, ভারতীয় নৌ ও বিমান বাহিনী উভয়ের সঙ্গে আলোচনা চলছে। বিমান বাহিনীর ১১৬টি নতুন জেট প্রয়োজন। মেক ইন ইন্ডিয়া উদ্যোগের আওতায় মাহিন্দ্রা ও হিন্দুস্তান এরোনটিক লি. (এইচএএল)-এর সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ভারতে জঙ্গিবিমান তৈরি করতে চাচ্ছে বোয়িং।
জিলিয়ান বলেন, এইচএএল অনেক দিন ধরে বিমান তৈরি করছে। আর মাহিন্দ্রার প্রয়োজনীয় কারিগরি জ্ঞান রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে আমরা ভারতে একটি আনকোরা নতুন কারখানা স্থাপন করতে পারি। এতে পরবর্তী প্রজন্মের বিমান তৈরি করতেও ভারতের সুবিধা হবে।
Posted ১:৪৯ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১৭ আগস্ট ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta