কক্সবাংলা ডটকম(২০ মে) :: দূর মহাকাশে কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার একটি মানমন্দিরে এমনই কিছু রেডিও তরঙ্গ ধরা পড়েছে। তবে এই তরং নিয়ে এতটা ভাবার কিছু নেই! কারণ এসব তরঙ্গ কোনও আলাদা কিছু নয়, বরং কোনও একটা বার্তা পাঠানোর প্রয়াস বলে মনে করা হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ার মলোঙ্গলো অবজারভেটরি সিনথেসিস টেলিস্কোপ (মোস্ট) ছয় মাসের মধ্যে তাদের পাওয়া তিনটি এফআরবি- ১৬০৩১৭, ১৬০৪১০ ও ১৬০৬০৮- প্রকাশ করেছে। তারা তাদের এই আবিষ্কারকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করছে। তাছাড়া সরঞ্জামগত হস্তক্ষেপের ফলে এফআরবিগুলোর আবির্ভাব হওয়ার তত্ত ও তারা নাকচ করে দিয়েছে।
এফআরবির সন্ধান প্রথম পাওয়া যায় ২০০৭ সালে। তবে এগুলো এখন মহাকাশের অন্যতম বিস্ময়ে পরিণত হয়েছে। এগুলো মাত্র কয়েক মিলিসেকেন্ড স্থায়ী হলেও তারা অপরিমেয় জ্বালানি ছেড়ে দেয়। সূর্য এক মাসে যতটুকু জ্বালানি উৎপাদন করে, ওই কয়েক মিলিসেকেন্ডের জ্বালানি তার চেয়েও বেশি। এসব এফআরবি এতই শক্তিশালী যে, পৃথিবীর সরঞ্জাম কয়েক শ’ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূর থেকেই সেগুলো শনাক্ত করতে পারে। মানুষ এক দশকে মাত্র কয়েক ডজন এফআরবির সাক্ষাত পেয়েছে
অস্ট্রেলিয়ার মানমন্দিরটিই এফআরবি অনুসন্ধানে সবচেয়ে কার্যকর। এটা বিশাল এলাকায় অনুসন্ধান চালাতে পারে। তাছাড়া প্রতি দিন এক হাজার টেরাবাইট উপাত্তও সংগ্রহ করতে পারে। এমন শক্তিশালী হওয়ার কারণেই এখানকার গবেষকেরা এফআরবি সম্পর্কে বেশি তথ্য পাচ্ছেন। আর এই কারণেই গবেষকেরা নিশ্চিতভাবে বলছেন, এসব এফআরবি আমাদের মহাকাশের বাইরে থেকে আসছে।
তবে মানুষের চেয়েও বুদ্ধিমান কোনও প্রাণী এফআরবির মাধ্যমে বার্তা পাঠাচ্ছে, তা নিশ্চিতভাবে বলার সময় এখনও আসেনি বলে মনে করছে। এখন পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, বারবার এফআরবি আবিষ্কৃত হচ্ছে। ঠিক কারা পাঠাচ্ছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে কেউ কেউ বলছেন, অনেক দূরের মহাকাশ থেকে কোনও বুদ্ধিমান প্রাণী এগুলো পাঠাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে, অনেকে আবার ইউএফও বলেও মনে করছে।
Posted ১০:৩২ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২০ মে ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta