কক্সবাংলা ডটকম(৩০ আগস্ট) :: ইরানের জ্বালানি তেল রফতানিতে ধ্বস নেমেছে। নভেম্বরের শুরুতে ইরানের ওপর নতুন করে মার্কিন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। এ সময় দেশটির অর্থনীতির ওপর বাড়তি চাপ পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। কমে যাবে ইরান থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য রফতানিও।
নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের আগেই ইরানের রফতানি বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। চলতি বছরের আগস্টে দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রধান রফতানি পণ্য অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের রফতানি ১৬ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে এসেছে।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম রয়টার্সের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের আগস্টে ইরান থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ও কনডেনসেটের সম্মিলিত রফতানি সাত কোটি ব্যারেলের নিচে নেমে এসেছে।
২০১৭ সালের নভেম্বরের পর এ মাসেই দেশটি থেকে সবচেয়ে কম জ্বালানি তেল ও কনডেনসেট রফতানি হয়েছে।
তেহরানের ওপর দ্বিতীয় দফায় অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের আগে মিত্র দেশগুলোর কাছে ইরান থেকে জ্বালানি পণ্য আমদানি কমানো কিংবা শূন্যে নামিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছিল ওয়াশিংটন।
ট্রাম্প প্রশাসনের এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে এরই মধ্যে কয়েকটি দেশ ইরান থেকে জ্বালানি আমদানি কমিয়ে দিয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে ইরানের জ্বালানি রফতানি খাতে।
প্রধান রফতানি পণ্য অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ও কনডেনসেট রফতানি ১৬ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে আসাকে ইরানের অর্থনীতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বিবেচনা করছেন খাত-সংশ্লিষ্টরা।
চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও রফতানি বাজার ধরে রাখতে সেপ্টেম্বরে সরবরাহের চুক্তিতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানিতে অফিশিয়াল সেলিং প্রাইস (ওএসপি) কমানোর ঘোষণা দিয়েছে ন্যাশনাল ইরানিয়ান অয়েল কোম্পানি।
২০১৪ সালের পর একে ইরান থেকে জ্বালানি তেল রফতানিতে সবচেয়ে বড় মূল্যছাড় বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
তবে ট্রাম্প প্রশাসনের চাপ এড়াতে তেহরান থেকে ছাড়কৃত মূল্যেও জ্বালানি তেল কিনতে আগ্রহী নয় ক্রেতা দেশগুলো। এ কারণে ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানসহ প্রধান ক্রেতা দেশগুলোয় ইরানের জ্বালানি তেল রফতানিতে মন্দাভাব দেখা দিয়েছে।
নভেম্বরে দ্বিতীয় দফায় মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে তেহরানের জ্বালানি তেল রফতানি আরো কমতে পারে বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
Posted ৩:২৮ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ৩০ আগস্ট ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta