শংকর বড়ুয়া রুমী(৩১ মে) :: ইয়াবামুক্ত হওয়ার জন্য ‘স্বজনপ্রীতির মত আচরণ বন্ধ আর রাজনৈতিক সদিচ্ছাটা’ বড়ই জরুরী; একেবারে তৃণমূল থেকে তার প্রতিফলন ঘটানো চাই। কারণ ক্ষমতাধর বা প্রভাবশালী নেতারা এখনো কারো কারো রক্ষাকর্তা।”
সরকারের মাদক বিরোধী ‘বিশেষ অভিযানটির’ এক বছর তো পূর্ণ হল। বাজারে ইয়াবার সংকট বা দাম কি কমেছে?
বরঞ্চ, আগের চেয়ে নিম্নমানের ইয়াবায় সয়লাব বা বিস্তৃতিই বেড়েছে। তাহলে আইন শৃংখলা বাহিনীর এত্তো অভিযানের পরও কেন ইয়াবার চালানের অনুপ্রবেশ বন্ধ বা বাজারে সংকট দেখা দিচ্ছে না?তাহলে তো ভাবতে হবে- ‘শর্ষের মধ্যেই ভুত আছে’।
“একটি বিষয় বলি- “ইয়াবাপাচারের রুট নতুন করে পরিবর্তন হয়েছে। পাচারকাজেও যুক্ত হয়েছে নতুন চক্র বা সংঘবদ্ধ নতুন শক্তিও। যা আন্তর্জাতিক মাফিয়া চক্র বা মাদক ব্যবসায়িদের উদ্ভুদ পরিস্থিতিতে নতুন মিশনেরও অংশ বিশেষ।
মনে হচ্ছে, প্রশাসন ও সরকারি সংস্থাগুলোকে গৎ-নিয়মের দৃষ্টি আর ব্যবস্থায় ব্যতিব্যস্ত রেখে ‘ইয়াবাময়’ জগত-সংসার অব্যাহত রাখতে সংঘবদ্ধ আন্তর্জাতিক চক্রটির নতুন মিশনও। এতে জেনে না জেনে, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত রয়েছে; ক্ষমতাধর বা প্রভাবশালী নেতারাও। ”আসল কথা হল- ” সমাজ বা রাজনীতিটা আসলে কোন জায়গায় বা নৈতিকতার মানদন্ডের উপর ভিত্তি করে চলছে? সমাজে অনেক লেবাসধারী সুশীল বা নেতা আছেন।
তেনাদের অধিকাংশের (৯৯%) দিনের আলোতে (প্রকাশ্যে) এক আর রাতের অন্ধকারে (গোপনে বা অন্তরূপে) আরেক আচরণ।সমাজের কিছুসংখ্যক মানুষ ( সব শ্রেণীপেশার ক্ষেত্রে ) এতো দ্রুত কোটিপতি বা ধনসম্পদের মালিক হয় করে?
তাদের হাতে কোন ‘আলাদিনের চেরাগ’ আছে কি?আমি অর্থনীতির ছাত্র না হলেও ‘রাজনৈতিক অর্থনীতির ছাত্র’; তা হিসেবটা কম বুঝিনে।সমাজ বা রাষ্ট্রযন্ত্রের সবখানটাতে ‘দুর্নীতি-অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি আর স্বেচ্ছারিতার আবাস গড়ে না উঠলে এটি কখনো সম্ভব নয়।
”তাহলে একবার ভাবুন তো, ‘ইয়াবামুক্ত’ হওয়ার জন্য সমাজের কোন জায়গাটাতে হাত দেয়া উচিত?
লেখক : শংকর বড়ুয়া রুমী
সাবেক ছাত্র ইউনিয়ন নেতা ও গণমাধ্যম কর্মী(বিডি নিউজ-ডিবিসি টিভি)
Posted ১২:০০ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ৩১ মে ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta