এম আবুহেনা সাগর,ঈদগাঁও(২৯ জুন) :: ককসবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওতে নাসি খালের উপর ঝুকিঁপূর্ণ কাঠের সাকোটি দ্রুত সংস্কারের দাবী এলাকাবাসীর। এটি দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে সংস্কারবিহীন অযন্তে অবহেলায় পড়ে আছে। সংস্কারের উদ্যোগ না নেওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন বৃহৎ এলাকার জনগোষ্টি।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, এই ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের নির্মিত তক্তার উপর ভর করে দৈনিক শত শত লোকজন নানা কাজেকর্মে আসা যাওয়া করে থাকে। পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা স্ব স্ব শিক্ষাঙ্গনে যাতাযাত করছে অতি কষ্টের বিনিময়ে।
এছাড়া এ ব্রীজ দিয়ে ঈদগাঁও ইউনিয়নের বৃহত্তর মাইজ পাড়ার মানুষ ছাড়াও অন্য এলাকার লোকজন চলাফেরা করে থাকে। যানবাহন নিয়ে পারাপারতো দূরের কথা একা পায়ে হেটে যাওয়াও কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে । আবার একজন রোগীকে আনা নেওয়ার কাজে মরনদশায় পড়তে হচ্ছে অনেককে।
ব্রীজের ওপারের একজন ব্যাক্তি মৃত্যুত্যুবরণ করলে তাকে নিয়ে এপারে মহাকষ্টের মধ্য দিয়ে মেহেরঘোনা জামে মসজিদের জানাজার মাঠে আনতে হয়। নইলে দূরবর্তী স্থান দিয়ে যানবাহন করে মৃত ব্যাক্তিকে নিয়ে আসতে হয় এমন অবস্থায় পড়ছে এলাকাবাসীকে।
এটি পার হয়ে প্রতিদিন চাকরীজিবী,পেশাজীবি, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ সাধারন লোকজন কোন না কোন ভাবেই মহাসড়কে আসতে দেখা যাচ্ছে। এমনকি দশ মিনিটের পথ এখন ঘন্টার বেশি সময় ব্যয় হচ্ছে ব্যস্ত মানুষজনদের ক্ষেত্রে।
তবে এলাকার সাধারন লোকজনের মতে, দীর্ঘ বছর পূর্বে একটি ছোট্র ব্রীজ নির্মান হয়েছিল, তখনকার সময়ে সেটি বর্ষা মৌসুমে ঢলের পানির তোড়ে ভেঙ্গে যায়।
এরপর থেকে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় কাঠের সাকোর মত তক্তার ব্রীজ দিয়ে চলাচল করে যাচ্ছে। অথচ গ্রামীন সড়কের মধ্য এটি অতীব গুরুত্ববহ সড়ক বললেই চলে।
এদিকে স্থানীয় সচেতন ব্যাক্তি সোলতান জানান, এটি প্রায় ২৭ বছর ধরে অযন্তে অবহেলায় সংস্কার বিহীন পড়ে আছে। ব্রীজটি নির্মানের ক্ষেত্র কোনভাবে আলোর মুখ দেখছেনা এলাকাবাসী।
অন্যদিকে ওর্য়াড় ছাত্রলীগ আহবায়ক জাওয়ান উদ্দিন রায়হায় আজকের ককসবাজারকে জানান , চলাচলের সুবিধাথে এ সাঁকোটি নির্মান এখন সময়ের গনদাবীতে পরিনত হয়ে পড়েছে।
অন্যথায় বর্ষা মৌসুমে ঢলের পানির তোড়ে এটি ফের তলিয়ে যাওয়ার আশংকাও প্রকাশ করেন। ইউপি চেয়ারম্যানের মুঠোফোনে সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
Posted ১২:৪৫ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৯ জুন ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta