এম আবু হেনা সাগর,ঈদগাঁও(১ জুলাই) :: কক্সবাজার সদরের বৃহত্তর ঈদগাঁওয়ের গরুর হালদা শিয়াপাড়া ও কোনা পাড়াবাসীর যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এ কাঠের নড়বড়ে ব্রীজটি। অথচ এ ঝূঁকিপূর্ণ কাঠের ব্রীজটি কারো নজরে পড়েনি। এ ব্রীজটি দেখার কেউ না থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন চলাচলরত প্রায় দু’হাজারের অধিক লোকজন।
জানা যায়, ঈদগাঁও ইউনিয়নের উত্তর শিয়া পাড়া, মধ্যম শিয়া পাড়া, কোনা পাড়া, ভাদিতলার শত শত নারী-পুরুষ যাতায়াতের পাশাপাশি ঈদগড়-বাইশারীর লোকজনও অনেক সময় এ সড়ক দিয়ে ব্রীজ পার হয়ে নিজ নিজ কর্মস্থলে পৌছায়।
গ্রামাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ এ ব্রীজটি সংস্কার না হওয়ায় বিশাল এলাকাবাসীর চোখে মুখে হতাশার কালো ছায়া দেখা দিয়েছে। এমনকি এ ঝুঁকিপূর্ণ কিংবা লন্ডভন্ড কাঠের ব্রীজটি পার হয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে অসংখ্য কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
এসবের দিকে দৃষ্টি রেখে দ্রুততম সময়ে এ কাঠের ব্রীজটি পরিপূর্ণ সংস্কারের জোর দাবী তুলছেন এলাকাবাসী।
এছাড়া দৈনিক শত শত লোকজন রাতে কিংবা দিনে নানা কাজকর্মে জেলা সদরের ঐতিহ্যবাহী ঈদগাঁও বাজারে আসা-যাওয়া করে থাকে অত্যন্ত দূর্ভোগ আর দূর্গতি নিয়ে।
জেলার অন্যান্য উপজেলার বিভিন্ন গ্রামগঞ্জের সড়ক, কালভার্ট কিংবা ব্রীজ নির্মাণ করে যেভাবে উন্নয়নের ছোঁয়া পেয়েছে তার এক বিন্দুও ঈদগাঁওয়ের শিয়াপাড়াবাসী খুঁজে পায়নি।
ব্রীজ পার হয়ে আসা রিক্সা চালক আবু তাহেরের কাছে জানতে চাইলে তিনি হতাশ কন্ঠে জানান, শিয়া পাড়া ও কোনা পাড়ার লোকজন প্রতিবাদ করতে জানে না বিধায় এ ব্রীজটি দীর্ঘদিন ধরে অযতœ অবহেলায় পড়ে রয়েছে।
এলাকার কয়েক মুরব্বীর মতে, এলাকার ইউপি সদস্য সহ ছোট বড় নেতাকর্মীরা এক পাশে থাকার কারণে আজ আমাদের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এ ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজটির খবর কেউ রাখে না।
তবে এলাকার সচেতন যুবক মোহাম্মদ নুর ও মোক্তার আহমদ জানান, বৃহত্তর শিয়া পাড়াবাসীর একমাত্র চরম দুঃখ দুর্দশা এ কাঠের ব্রীজটি। দিবারাত্রিতে চলাচল করতে লোকজন নানাভাবে হিমশিম খাচ্ছে। তাই অবিলম্বে এ ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজটি পুনঃসংস্কার করে এলাকাবাসীর মুখে হাসির ঝিলিক ফুটিয়ে তোলার আহবান উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট।
Posted ৫:২৯ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০১ জুলাই ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta