রবিবার ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

রবিবার ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

ঈদ-ভ্রমণের জন্য প্রস্তুত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত : অগ্রিম বুকিং ৮০ শতাংশ কক্ষ

রবিবার, ০২ জুন ২০১৯
246 ভিউ
ঈদ-ভ্রমণের জন্য প্রস্তুত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত : অগ্রিম বুকিং ৮০ শতাংশ কক্ষ

বিশেস প্রতিবেদক(২ জুন) :: পবিত্র রমজান শেষে খুশির ঈদ ‘ঈদুল ফিতর’ দরজায় কড়া নাড়ছে। ঈদের টানা কয়েক দিনের ছুটি কাটাতে বরাবরের মতো এবারও বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে ছুটবেন অগণিত পর্যটক। তাঁরা সমুদ্রের নোনা জলে গা ভাসাবেন, ছুটবেন পাহাড়ি ঝরনার হিমছড়ি, পাথুরে সৈকত ইনানী কিংবা মগ জমিদার কন্যার প্রেমকাহিনির টেকনাফ মাথিন কূপে।প্রতিবছরই ঈদের ছুটিতে নানা বয়সের মানুষের ভিড় হয় কক্সবাজারের নয়নকাড়া পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে। জানা গেছে, এবার ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারের হোটেল ও রিসোর্টের ৮০ শতাংশ কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে।

বিপুলসংখ্যক পর্যটককে বরণ করে নিতে প্রস্তুত কক্সবাজারের পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল গেস্টহাউস-কটেজ। এসব হোটেলে প্রত্যহ রাত যাপন করতে পারেন প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। হোটেলমালিকেরা বলছেন, ৪ জুন থেকে পর্যটকদের আসা শুরু হবে। ১৫ জুন পর্যন্ত টানা ১২দিনের ছুটিতে কক্সবাজারে ভিড় লেগেই থাকবে। বিশেষ করে ৭ থেকে ১০ জুন চার দিনে পর্যটক আসবেন প্রায় চার লাখ। অবশিষ্ট দিনগুলোতে আসবেন আরও দুই লাখ। তখন হোটেল-রেস্তোরাঁসহ পর্যটন খাতে ব্যবসা হবে ৩০০ কোটি টাকার।

ভ্রমণে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ঈদ উপলক্ষে টানা ১২ দিনের ছুটিতে প্রায় ৬ লাখ পর্যটকের আগমন ঘটবে কক্সবাজারে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের ১০১ সদস্য সমুদ্রসৈকত ছাড়াও টেকনাফ-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কের দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ইনানী, টেকনাফ, চকরিয়া ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক এলাকায় সার্বক্ষণিক ( দিনরাত ২৪ ঘণ্টা) নিরাপত্তা দিয়ে যাবে। কক্সবাজার শহরসহ জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় এলাকায় পর্যটকদের নিরাপত্তা দেবে জেলা পুলিশ।

জিল্লুর রহমান বলেন, সমুদ্রে গোসলে নেমে নিখোঁজ পর্যটকদের উদ্ধারে এবার ট্যুরিস্ট পুলিশের দুটি রেসকিউ টিম এবং নারী পর্যটকদের যৌন হয়রানি ও কটূক্তি বন্ধে সৈকতে পৃথক চারটি ‘ ইভ টিজিং কন্ট্রোল টিম’ মাঠে সক্রিয় থাকবে। লাবণী পয়েন্ট ( সুইমিং জোন) ছাড়া সৈকতের অন্য কোনো পয়েন্টে যেন পর্যটকেরা গোসলে নামতে না পারেন, সে জন্য সতর্কতামূলক প্রচারণার পাশাপাশি ওই সব স্থানে লাল নিশানা ওড়ানো হচ্ছে। সমুদ্রে গোসলে নামার আগে জোয়ার-ভাটা দেখে যেন পর্যটকেরা সমুদ্রে নামেন, এ জন্য সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে বিল বোর্ডও স্থাপন করা হয়েছে।

আজ সকালে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে, প্রচণ্ড গরমে ফাঁকা বিশাল সৈকত। হাতে গোনা কয়েকজন তরুণ সমুদ্রের কোমরসমান পানিতে নেমে দৌড়ঝাঁপ দিচ্ছেন। ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা তাঁদের নজরে রাখছেন। কিছু পর্যটক বালুচরে বসানো কিটকটে ( বসার ছাতা-চেয়ার) বসে দূরের সমুদ্র অবলোকন করছেন।

কক্সবাজারের হোটেলগুলো প্রস্তুত পর্যটকদের জন্য। ছবি: প্রথম আলো

কক্সবাজারের হোটেলগুলো প্রস্তুত পর্যটকদের জন্য। 

ছাতা ব্যবসায়ী আবদুল কাদের বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর পর থেকে টানা গরম ( দাবদাহ) চলছে। গরমে বালুচর উত্তপ্ত হয়। এ কারণে পর্যটকেরা সৈকতে নামছেন না। তবে বিকেলের দিকে কিছু পর্যটক সমুদ্রে নামেন । তাও অন্য সময়ের তুলনায় অনেক কম। তবে ঈদের পরদিন থেকে সৈকতে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড় থাকবে। তখন কথা বলার ফুরসত পাব না।

কলাতলীর হোটেল মোটেল জোন এলাকার তিন শতাধিক হোটেল মোটেল কটেজে এখন প্রায় খালি পড়ে আছে। শহরের অন্য স্থানগুলোর চিত্রও একই।

কক্সবাজার কটেজ-গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি কাজী রাসেল আহমদ বলেন, ৪ জুন থেকে সৈকতে পর্যটকের আসা শুরু হবে। তবে বেশি পর্যটক আসবেন ৭ থেকে ১০ জুন পর্যন্ত। এর বাইরে ১৫ জুন পর্যন্ত আরও কিছু পর্যটকের আসা-যাওয়া থাকবে। সব মিলিয়ে এবারের ঈদের ছুটিতে পাঁচ-ছয় লাখ পর্যটকের আগমন ঘটতে পারে। ইতিমধ্যে সৈকত ও শহর এলাকার পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউস-কটেজ ও বাংলোর ৮০ শতাংশ কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে।

মেরিন ড্রাইভ সড়কের প্যাঁচারদ্বীপ সৈকতে পরিবেশবান্ধব পর্যটন পল্লি মারমেইড বিচ রিসোর্ট। এ রিসোর্টের বেশির ভাগ অতিথি বিদেশি। রিসোর্টের মহাব্যবস্থাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, তাঁদের ৫০টি কটেজে ১০০ জন অতিথি থাকতে পারেন। ঈদের ছুটি উপলক্ষে প্রায় কটেজ বুকিং হয়ে গেছে।

ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের (টুয়াক) সভাপতি তোফায়েল আহমদ বলেন, ঈদের টানা ১২ দিনের ছুটিতে ছয় লাখ পর্যটক কক্সবাজারে এলে পর্যটন খাতে অন্তত ৬০০ কোটি টাকার ব্যবসা হতো। কিন্তু এখন হবে অর্ধেক। কারণ ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় হোটেল রেস্তোরাঁয় মাছের সংকট থাকবে। শুঁটকিও উৎপাদন বন্ধ ১২ দিন ধরে। গত বছর ঈদের ছুটিতে ৫০ কোটি টাকার শুঁটকি বিক্রি হয়েছিল।

 

তাছাড়া সেন্ট মার্টিনেও প্রমোদতরি ( পর্যটকবাহী জাহাজ) চলাচল বন্ধ। তার ওপর চলছে প্রচণ্ড দাবদাহ পরিস্থিতি। তবে শহরের টেকপাড়ার বার্মিজ মার্কেটগুলো জমজমাট থাকবে। সেখানে রাখাইনদের তৈরি আচার, কাপড়চোপড় এবং সৈকতের শামুক-ঝিনুকের গয়না আসবাবের বেচাবিক্রি ভালোই হবে।

জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, এই ঈদের ছুটিতে ভ্রমণে আসা কয়েক লাখ পর্যটকের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি অতিরিক্ত হোটেল ভাড়া আদায় বন্ধ এবং খাবারের মান নিয়ন্ত্রণে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে সক্রিয় রাখা হবে।

 

সূত্র : আব্দুল কুদ্দুস রানা,দৈনিক প্রথম আলো,কক্সবাজার

246 ভিউ

Posted ৯:৩৯ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০২ জুন ২০১৯

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com