মোসলেহ উদ্দিন,উখিয়া(২ জুলাই) :: ইয়াবা পাঁচারে স্বরাস্ট্র মন্ত্রনালয়ের তালিকায় নাম না থাকলেও উখিয়া সদরের বাসিন্দা মির স্থানীয় মানুষের কাছে এখন কোটিপতির তালিকায়। সম্প্রতি সীমান্ত শহর উখিয়ায় নব্য কোটিপতির মধ্যে সে একজন।
পচিশোর্ধ অল্প বয়সি লোক হলেও তার রয়েছে বিলাস বহুল বাড়ি একাধিক গাড়িও গো-মহিষের খামার বাড়ি। যেখানে অন্তত ৭০টি গো মহিষের জন্য কাজের লোক রয়েছে ডজন খানেক।
মাননিয় প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনার সরকার ইয়াবা বিরোধি নির্দেশের পর সীমান্তজুড়ে পুলিশ, বিজিব, কোস্টগার্ড, র্যাব ও অন্যান্য আইনি সংস্থার লোকজন কড়াকড়া আরোপ করাতে উখিয়ার এই ইয়াবা পাঁচারকারি মির আহমদ এখন রুট বদল দিয়ে থাইনখালি সীমান্ত থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প হয়ে মধুরছড়া, দোছড়ি হাজিপাড়া অঁজপাড়া মেটো পথকে অনুস্বরন করে ইয়াবা পাঁচারের মোক্ষম সড়ক হিসাবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানিয়রা জানান, ওই মির রাজাপালং ইউনিয়নের হাজিরপাড়া গ্রামের । অল্পবয়সি কোন কমে দস্তখত জনা এই ছেলে রাতারাতি স্বপ্নের সিড়ি বেয়ে শুধুই উপরে উঠছে। এই তো কয়দিন আগেও তার কোন বিলাস বহুল বাড়ি ও ষাট সত্তরের মত গো মহিষ ছিল না। স্থানিয়রা ধারনা করে বলছেন, সম্ভবত সে কোন আন্ডার ওয়াল্ড গ্যাং স্টারের সাথে জড়িত। না হয় কাড়ি কাড়ি টাকা কোথা থেকে এলো!
অসমর্থিত সুত্র মতে সে সরকারের চলমান মাধক বিরোধি অভিযানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সড়ক পথ বাদ দিয়ে বালুখালিও থাইনখালী বিস্তির্ণ জঙ্গল পথ বেয়ে দোছড়ি ও হাজির পাড়ায় মজুদ করে।
পরে সুবিধাজনক সময়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কক্সবাজার সহ সারাদেশে পাঁচার করে কাড়ি কাড়ি টাকা ইনকাম করছে।
এ ব্যাপারে গোপনিয় সংস্থার লোকজন জানান, তার বিরুদ্ধে ইয়াবা পাঁচারের অভিযোগ রয়েছে। তাকে খোজে পাওয়া গেলেই আইনের কাছে সোপর্দ করা হবে।
স্থানিয় সচেতনদের অভিযোগ, ইয়াবা মির আহমদের কারনে হাজিরপাড়া এলাকাটি ইয়াবায় ভরে গেছে। যুব সমাজকে ইয়াবার কবল থেকে রক্ষা করা যাচ্ছে না। কাজে যত দ্রুত সম্ভব এই ইয়াবা মির কে গ্রেপ্তারের আওতায় আনা হোক।