মোসলেহ উদ্দিন,উখিয়া(২ এপ্রিল) :: উখিয়ায় পল্লী বিদ্যুতের লাইন পেতে গ্রাহকদের গুণতে হাজার হাজার টাকা উৎকোচ। চলতি বছরের উখিয়ার প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বলতে প্রতিশ্রুতি প্রধানন্ত্রীর। সরকারের এ নির্দেশ বাস্তবায়নাধিন উখিয়ার কৃষক সসমাজকে দিতে হচ্ছে কয়েক দফায় গণ হারে ঘুষ।
উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের পশ্চিম পালংখালী গ্রামে বিদ্যুতায়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে কিছুদিন থেকে। কিছু খুটি টিকাদারের লোকজন নিয়ে রেখেছে। খুটি পুঁতা, তার লাগানো, ট্রান্সফরমার স্থাপন, গ্রাহকদের ঘর বাড়িতে ওয়ারিং, মিটার স্থাপন সহ অনেক কাজ বাকি রয়েছে। কিন্তু ওই খুটি দেখিয়ে গ্রামের প্রায় সকলের কাছ থেকে প্রথম দফায় গণ হারে উৎকোচ আদায় শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় আরো দিতে হবে এই কথা সবার মুখে মুখে।
ওই ইউনিয়নের সরকারী গ্রাম পুলিশ হোছন আহমদ গত মঙ্গলবার ২৭ মার্চ উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট দালাল কর্তৃক বাধ্যতামূলক হারে গণ ঘুষ আদায়ের অভিযোগ করা হয়েছে। ঘুষ দিতে কেউ অপারগতা প্রকাশ করলে পল্লী বিদ্যুতের সংঘবদ্ব দালালচক্র তাদের উপর মারমুখি আচরণ করেছে।
অভিযোগে জানা যায়, স্থানীয় একই গ্রামের মৃত কালা মিয়ার ছেলে নুর হোছাইন ও জাফর আলমের ছেলে মাহাবুব আলম এ গ্রামের ৮২ পরিবারের কাছ থেকে পরিবার পিচু ৩ হাজার টাকা হারে জোর পূর্বক টাকা আদায় করছে। এ টাকা না দিলে টিকাদার ও পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বর্ষার আগে বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনের কাজ করবে না বলে হুমকিও শোনানো হয়েছে।
পল্লী বিদ্যুতের দালালদের টাকা কম দেয়ায় ওই গ্রাম পুলিশের স্ত্রীকে ঘরে গিয়ে মারতেও উদ্যত হয় বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। লাইন নির্মাণের পর মিটার, সংযোগ ও ট্রান্সফরমারের জন্য দ্বিতীয় দফায় আবারও ২ হাজার টাকা হারে দিতে হবে বলে দালালদের নির্দেশ রয়েছে।
এব্যাপারে পল্লী বিদ্যুতের উখিয়া ডিজিএম সালাহ উদ্দিন জোয়ারদার বলেন, সরকার সম্পূর্ণ বিনামূল্যে মাষ্টার প্ল্যানের আওতায় চলতি বছরের মধ্যে উখিয়ার প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। টিকাদারের লোকজন লাইন নির্মাণে গ্রাহকদের কাছ থেকে কোন ধরনের অর্থ আদায়ের সুযোগ নেই। এপরও যদি এরকম কোন অভিযোগ আসে তাহলে তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।