কক্সবাংলা রিপোর্ট(৩০ ডিসেম্বর) :: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রবিবার (৩০ ডিসেম্বর) কক্সবাজার জেলার ৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৮ প্রার্থী। সকাল ৮টায় ভোট শুরুর সময় কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি ছিল হাতেগোনা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে থাকে।৪টি আসনে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্যে দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে নির্বিঘ্নেই শেষ হয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। শেষ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত হয় শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের একটি অনন্য উদাহরণ।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়,জেলার ৪টি আসনে রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যে বড় ধরণের কোন গোলযোগের ঘটনা পাওয়া যায়নি। তবে সাধারণ ভোটারদের ভোট দিতে নানা বিড়ম্বনার কথাও জানা গেছে। এছাড়া পেকুয়ার রাজাখালীতে বিএনপি সমর্থকদের হামলায় যুবলীগের এক কর্মী নিহত হয়েছে। আর কেন্দ্র দখল,মারধর সহ নানা অভিযোগে কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে নির্বাচন বর্জন করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ।
এর মধ্যেও এক পক্ষের সমর্থকদের মাঝে চলছিল উৎসব। রবিবার জেলা জুড়ে সকাল থেকেই শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট গ্রহন শুরু হয়। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটাদের নানান বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হয়। অনেকে ভোটার সিরিয়াল স্লিপ না পাওয়াতে ভোট দিতে পারেন নি। কোন কোন ভোটার ভোট না দিয়ে বাড়ি চলে গেছেন।
তবে, মহাজোট তথা আ:লীগ প্রার্থীরা ভোটের ব্যাপারে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে জয়ের প্রত্যাশা করেন। অপর দিকে ধানের শীষ, হাতপাখা সহ অন্যান্য প্রার্থীরা অবৈধ সিল মারা ও এজেন্ট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দেওয়াসহ নানা অভিযোগ করেন।
তবে, এক পক্ষের ভোট বর্জন ও নানা অভিযোগ থাকলেও পুরো জেলা জুড়েই শান্তিপূর্ণ ছিল। সেই সাথে মহাজোট সমর্থকসহ ভোটারদের মাঝে উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা গেছে।
উল্লেখ্য এবার কক্সবাজার জেলার ৪টি আসনে ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ভোটারের জন্য ৫১৩টি কেন্দ্র ছিল ভোট গ্রহনের। সন্ধ্যায়ই ভোট গ্রহনের পালা শেষে শুরু হয়েছে ভোট গণনা। এর পর পরই আসবে ফলাফল জানার পর্ব।
Posted ৭:১৪ অপরাহ্ণ | রবিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta