কক্সবাংলা রিপোর্ট(২৫ নভেম্বর) :: প্রকৃতিতে শীত আসতে না আসতেই কক্সবাজারের বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ বাড়ছে শীতকালীন সবজির। তাই মুলা, ফুলকপি, সিমসহ কমেছে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম। অন্যদিকে আবারও বেড়েছে পেঁয়াজের ঝাঁঝ। পেঁয়াজ নিয়ে ভোগান্তি কমছে না ভোক্তাদের। সরবরাহ বাড়ার সাথে সাথে আবারও বেড়েছে দামও।
কক্সবাজারের পাইকারী ও খুচরা বাজারে এক লাফে পেয়াজের দাম কেজি প্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে। যে পেঁয়াজ গত ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার শহরের বড় বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার পর ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। যা কয়েকদিন অব্যাহত ছিল। আর ২৫ নভেম্বর সোমবার সেই পেঁয়াজ প্রতিকেজি প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দরে।যা রাত ১১টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন জায়গায় পরিলক্ষিত হয়। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
দোকান ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ দোকানে পেঁয়াজের অস্থিত্বই নেই। আর কিছু কিছু দোকানে এক-দুই বস্তা করে পেঁয়া্জ রাখা রয়েছে।শহরের বড়বাজারে মিয়ানমার ও মিসরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়।কয়েকটি খুচরা দোকানেও একই দামে বিক্রি হচ্ছে।
দোকানিরা বলছেন, আড়তেও পেঁয়াজের সংকট। এ কারণে বেশি দামে পেঁয়াজ কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তারা বলছেন, ‘ক্রেতারা চায় বলেই পেঁয়াজ বিক্রির জন্য রেখেছি। নয়তো পেঁয়াজ বিক্রি করতামই না।’
এদিকে টেকনাফ স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে,সোমবার ২১টি ট্রলারে মিয়ানমার থেকে নৌপথে ১ হাজার ১০৩টন পেঁয়াজ টেকনাফ স্থলবন্দরে এসে পৌঁছেছে। রোববারও এসেছিল ৭৯০টন পেঁয়াজ। ১২জন ব্যবসায়ী এসব পেঁয়াজ আমদানি করেছেন। আর চলতি নভেম্বর মাসে ২০দফায় ১৭ হাজার ৯৪৯ টন পেঁয়াজ এসেছে। পেঁয়াজগুলো খালাস করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়েছে।
Posted ৩:৪১ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta