
নজরুল ইসলাম,কুতুবদিয়া :: কুতুবদিয়া বড়ঘোপ–দরবারঘাট টু মগনামা নৌ-পারাপার ঘাট দু’টি খাস কালেকশানে (সরকারি ব্যবস্থাপনায়) চলমান থাকলেও যাত্রীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে।
বর্তমানে ডেনিসবোটে জনপ্রতি ৩০ টাকা ও স্পিডবোটে ৮০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। মালামালের ক্ষেত্রেও ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করায় জনভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।
যাত্রীরা অভিযোগ করেন, সরকারি ব্যবস্থাপনা চললেও আসলেই এসব টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হচ্ছে কি না—তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
তদুপরি ঘাটের নিয়ন্ত্রণে থাকা পাটনিরা (শ্রমিক) যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও জোরপূর্বক অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে। প্রতিবাদ করলে যাত্রীদের অপদস্থ হতে হচ্ছে।
প্রতি বছর ১লা বৈশাখে ঘাট ইজারা দেওয়া হলেও চলতি বছর ইজারাদার না পাওয়ায় খাস কালেকশানের নামে পরিচালিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
কিন্তু অতিরিক্ত ভাড়া পুরোপুরি বন্ধ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ।
বড়ঘোপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কুতুবদিয়া প্রেসক্লাব সভাপতি আ.ন.ম. শহীদউদ্দিন ছোটন বলেন, “নির্ধারিতভাবে ডেনিসবোটের ভাড়া ২০ টাকা এবং স্পিডবোটের ৬০ টাকা করতে হবে।
না হলে খাস কালেকশান বাতিল করে নতুন ইজারাদার নিয়োগ দিতে হবে।”
তিনি জানান, দাবি না মানা হলে ইউনিয়ন পরিষদ নিজ উদ্যোগে ২০ ও ৬০ টাকা ভাড়ায় যাত্রী পারাপারের ব্যবস্থা করবে।
এ বিষয়ে কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যথোয়াইপ্রু মারমা জানান, “পরপর তিন দফা আহ্বান জানিয়েও ইজারাদার না পাওয়ায় জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী খাস কালেকশান ব্যবস্থাপনায় ঘাট পরিচালিত হচ্ছে।”
যাত্রীরা দ্রুত নির্ধারিত ভাড়া বাস্তবায়ন ও ঘাট ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Posted ২:১২ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta