নজরুল ইসলাম,কুতুবদিয়া(৭ জুলাই) :: কুতুবদিয়ায় উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিপক্ষের জায়গা দখল নিতে রাতারাতি বসতঘর নির্মাণ করছে একদল দুর্বৃত্ত।
স্থানীয় একটি প্রভাবশালী পক্ষের ইন্দনে বিরোধীয় জায়গা জবর-দখলের পায়তারা করছে উপজেলার দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ছৈয়দ আহমদসহ ১০/১২ জন দুর্বৃত্ত। অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর।
সূত্রে জানাযায়, আলহাজ্ব আবুল হোছাইনের করা এম.আর.মামলা নং-৭০৮/২০৯ইং ফৌঃকাঃবিঃ১৪৪ ধারা মতে বিরোধীয় জায়গাতে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে অফিসার ইনর্চাজ কুতুবদিয়াকে নির্দেশ দেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালত কক্সবাজার এবং সার্বিক বিবেচনায় এসিল্যান্ড কুতুবদিয়াকে বিরোধীয় জায়গার বিষয়ে তদন্তপূর্বক মতামতসহ রির্পোট দিতে বলেন উক্ত আদালত।
রবিবার (৭ জুলাই) বিরোধীয় স্থানে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, আদালতের উক্ত আদেশকে অমান্য করে ছৈয়দ আহমদের ছেলে গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একদল দুর্বৃত্ত অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিরোধীয় জমিতে তৎজলদি ঘর নির্মাণ করছেন। পাশাপাশি ঘেরা-বেড়া দিয়ে কলা গাছ রোপন করতে দেখা গেছে তাদের।
বৃষ্টিতে ভিজে কাঁদা মাটিতে রাতারাতি ঘর নিমার্ণের বিষয়ে গিয়াস উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি কোন সদোত্তর দিতে পারেন নি। তবে তিনি জানান, তার প্রাপ্য অংশে তিনি ঘর নির্মাণ করছেন ।
এ বিষয়ে স্থানীয় এমইউপি নুরুল আবছার,এলাকাবাসী যথাক্রমে আনোয়ার হোছাইন,মোঃ হাসান ও কলিম উল্লাহসহ আরো অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিএস ২৫৭নং খতিয়ানের ৭২৩ ও ৭২৬ দাগের ০.১৪ একর বিরোধীয় জায়গা দীর্ঘদিন ধরে আলহাজ্ব আবুল হোছাইন ভোগ-দখল করে আসছিলেন।
গত ৬ জুলাই উক্ত বিরোধীয় জায়গায় রাতারাতি ঘর নিমার্ণ দেখে অবাক হন তারা। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন নিরব থাকলে যে কোন মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসীর।
এ দিকে মঈন উদ্দিন ডিলার নামের একটি ফেইজ বুক আইডিতে দেয়া পোষ্টে দেখা যায় ‘‘ উচিত শিক্ষা দিলাম গরীবের সম্পদ দখলকারী হাজী সাহেবকে রাত ১ টার সময়।” তার পরে জবর-দখলের প্রমাণ স্বরূপ একটি ছবিও পোষ্ট করেন মঈন উদ্দিন ডিলার।
যার ফলে, উক্ত ঘটনার সাথে মঈন উদ্দিন ডিলারসহ আরো অনেকেই সরাসরি জড়িত থাকায় বিষয়টি নিষ্পত্তি হচ্ছে না বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
এ দিকে এলাকার এলাকার এমইউপি নুরুল আবছার বলেন, বিগত কয়েক বছর পূর্ব হতে উক্ত জায়গা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হলে উভয় পক্ষ মামলা-মোকাদ্দমায় জড়িয়ে পড়ে।
মামলাগুলো নিষ্পত্তির জন্য স্থানীয় ইউপির চেয়ারম্যান,মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের ওপর ন্যাস্ত করা হলে প্রতিপক্ষ ছৈয়দ আহমদ ও তার ছেলেরা স্থানীয় একটি প্রভাবশালী পক্ষের ইন্দনে প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় সালিশ-বিচার অমান্য করে মামলাগুলো নিষ্পত্তি হতে দেয়নি। উপরন্তো ঝগড়া-বিবাধে জড়িয়ে অপরপক্ষ আলহাজ্ব আবুল হোছাইন ও তার ছেলের হয়রানী করে আসছে।
Posted ৮:৫১ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৭ জুলাই ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta