এম.নজরুল ইসলাম,কুতুবদিয়া(১৪ অক্টোবর) :: কুতুবদিয়া উপজেলার ধুরুং ইউনিয়ের মনছুর আলী হাজীর পাড়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় গৃহবধুসহ দুই জন আহত হয়েছে। আহতরা হলো ঐ এলাকার মৃত গুরা মিয়ার পুত্র শামশুল আলম (৫৫) ও তার পুত্রবধু শওকত আরা বেগম (২৫) ।
এলাকাবাসী ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে কুতুবদিয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করালে গৃহবধু শওকত আরা বেগমের অবস্থা আশংকা জনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন। এব্যপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন আহতের পরিবার।
ওই এলাকার ইউনুছ,সোনা মিয়া ও আবদুল মজিদসহ একাধিক এলাকাবাসী জানান, ১৪ অক্টোবর (শনিবার) বিকাল ৫ টার দিকে উপজেলার উত্তর ধুরুং ইউনিয়ের মনছুর আলী হাজীর পাড়ার শামশুল আলমের পুত্রবধু শওকত আরা বেগমকে উদ্দেশ্য করে একই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডেও জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মোঃ খোকন ও নূর আহমদের ছেলে সোনা মিয়া অশ্লীল কথা-বার্তা বলে উত্যেক্ত করছিল।
এসময় শওকত আরা বেগমের শশুর শামশুল আলম তাদের বারণ করলে দুই বখাতে যুবক ক্ষিপ্ত হয়ে তার উপর হামলা করে। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে শামশুল আলম প্রতিপক্ষের আঘাতে মাটিতে পড়ে গেলে শামশুল আলমের পুত্রবধু শওকত আরা বেগম শশুরকে উদ্ধার করতে দৌড়ে আসে।
এসময় প্রতিপক্ষ শওকত আরা বেগকে উপর্যপুরি মারধর করলে তার বিশেষ অঙ্গ দিয়ে প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়। তাদের শোর চিৎকারে এলাকাবাসী ও আত্মীয় স্বজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
পরে ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে কুতুবদিয়া হাসপাতালে ভর্তি করালে কর্তব্যরত চিকিৎসক শওকত আরা বেগমের অবস্থা আশংকাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন।
শওকত আরার বেগমের শশুর শামশুল আলম বলেন, বখাটেরা আমার পুত্রবধুকে দীর্ঘদিন ধরে উত্যেক্ত করে আসছে। শনিবার ওই বখাটেরা ০৪নং ওয়ার্ড় থেকে আমাদের ৩নং ওয়ার্ডে এসে আমার পুত্রবধুর সাথে অশালীন ব্যবহার করেছে। আমি বাঁধা দিয়েছি বলে আমাকেসহ আমার গৃহবধুকে মারধর করেছে। আমার পুত্রবধু চার মাসের অন্তঃসত্বা।
এব্যপারে কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ দিদারুল ফেরদৌস বলেন, ওই ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্দপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে প্রতিপক্ষের বক্তব্য নিতে একাধিকবার চেষ্টা করেও কাউকে পাওয়া যায়নি বিদায় তাদের বক্তব্য সংযুক্ত করা সম্ভব হয়নি।
