চাঁদের কালো অংশ রয়েছে বরফ। আর সেই খোঁজ প্রথম পেয়েছিল ভারত। বছর দশেক আগে ভারতের পাঠানো মহাকাশযান চন্দ্রায়ন ১-এর তোলা ছবি থেকেই এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে পরে জানান নাসার বিজ্ঞানীরা। এবার কিসের সন্ধান পাওয়া যাবে, সেই প্রশ্নই ঘুরেফিরে আসছে দেশবাসীর মনে।

চাঁদের পৃষ্ঠে বেশ কিছুটা এলাকা জুড়ে রয়েছে সেই বরফ। যা থেকে আগামিদিনে জল তৈরি হওয়ার আশাও রয়েছে। সেই জলের উপস্থিতিতে হয়ত একদিন চাঁদকেও বাসযোগ্য করার পরিকল্পনা নেওয়া হবে। ‌এই বরফের রেশ ধরে চাঁদের পৃষ্ঠদেশের তলায় যদি কোনোভাবে জলের সন্ধান মেলে তাহলে, চন্দ্র অভিযান সহজ হবে মানুষের পক্ষে। নাসার গবেষণা বলছে, বহুকাল আগে থেকেই ওই বরফ রয়েছে চাঁদের অন্ধকার অংশে। আর সেই তথ্য প্রথম এনে দিয়েছিল ভারত।

চাঁদের দক্ষিণ অংশে যে বরফ রয়েছে সেটা একই জায়গায় পুঞ্জীভূত হয়ে আছে। আর উত্তর অংশে থাকা বরফ অনেকটা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। চাঁদের ওই অন্ধকার অংশে তাপমাত্রা কখনই মাইনাস ১৫৬ ডিগ্রির উপরে ওঠে না। ওই অঞ্চলে সূর্যের আলো কখনই স্পর্শ করতে পারে না। এর আগেও বরফের উপস্থিতির ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল, তবে এবার বিষয়টা আরও স্পষ্ট হল।

তবে ভারতের এই স্পেসক্রাফট চন্দ্রায়ন ১ দীর্ঘদিন ধরেই নানা ধরনের যান্ত্রিক সমস্যায় ভুগছে। ২০০৯-এর ২৮ অগাস্টের পর থেকে ওই মহাকাশযানের রেডিও সিগন্যাল আসাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

তবে কিছুদিন আগে, নাসার বিশেষ রাডারে ধরা পড়ে চন্দ্রায়ন-১-এর সেই ছবি। আর সেই মহাকাশযান এখন নিশ্চিন্তে চাঁদের চারপাশে ঘুরে-বেড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। ২০০৮ সালের ২২ অক্টোবর এটি মহাকাশে পাঠানো হয়। জানা গিয়েছে, এটি এখনও চাঁদের ২০০ কিলোমিটার দূর দিয়ে ঘুরছে। গত মাচর্ষ মাসে এমনটাই জানিয়েছিল, নাসার জেট প্রপালসান ল্যাবরেটরির রাডার সায়েন্টিস্ট।

এবার চন্দ্রায়ন-২ চাঁদে পাঠাচ্ছে ইসরো। হয়ত না কোনও একদিন এই যান ই বিশ্বের কাছে নিয়ে আসবে চাঁদে লুকিয়ে থাকা কোনও প্রাণের খবর। আপাতত আশায় বুক বাঁধছে সবাই।