কক্সবংলা ডটকম(২ মার্চ) :: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর প্রথমবারের মতো জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শুরু হচ্ছে আজ। চারদিনের এ সম্মেলন শেষ হবে ৬ মার্চ।
এবারের সম্মেলনে গুরুত্ব পাবে ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম জোরদারকরণ ইত্যাদি।
সম্মেলনকে সামনে রেখে এবার ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে ৩৫৬টি প্রস্তাব পেয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
গতকাল বিকালে সচিবালয়ে ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০২৪’ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।
তিনি জানান, এবার সম্মেলনে মোট ৩০টি অধিবেশন হবে। এর মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে কার্য অধিবেশন ২৫টি।
এছাড়া একটি উদ্বোধন অনুষ্ঠান, স্পিকারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ নিয়ে একটি ও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, নির্দেশনা গ্রহণ এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে দুটি অধিবেশন হবে।
কার্য অধিবেশনগুলোয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের মন্ত্রী/ উপদেষ্টা/ প্রতিমন্ত্রী/ সিনিয়র সচিব/ সচিবরা উপস্থিত থাকবেন।
সম্মেলনে মোট ৫৬টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থা এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অংশ নেবে। এবারের সম্মেলনে প্রথমবারের মতো সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিবরা বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিদের কাছে তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন।
সরকারের নীতিনির্ধারক ও জেলা প্রশাসকদের মধ্যে সামনাসামনি মতবিনিময় এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেয়ার জন্য প্রতি বছর ডিসি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সাধারণত এ সম্মেলন তিনদিনের হয়। তবে এবার একদিন সময় বাড়ানো হয়েছে।
সম্মেলন উপলক্ষে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনাররা লিখিতভাবে মাঠ প্রশাসনের সমস্যাগুলো নিয়ে প্রস্তাব দেন। অধিবেশনের সময় এগুলো ছাড়াও ডিসিরা তাৎক্ষণিক বিভিন্ন প্রস্তাবও তুলে ধরেন। কার্য অধিবেশনগুলোয় সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
এবার জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে ৩৫৬টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে জানিয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, ‘প্রাপ্ত প্রস্তাবগুলোয় জনসেবা বাড়ানো, জনদুর্ভোগ কমানো, রাস্তাঘাট ও ব্রিজ নির্মাণ, পর্যটনের বিকাশ, আইনকানুন বা বিধিমালা সংশোধন, জনস্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হয়েছে। বেশিসংখ্যক প্রস্তাব সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগসংক্রান্ত। এ-সংক্রান্ত মোট প্রস্তাব ২২টি।’
ডিসি সম্মেলনে উদ্বোধন অনুষ্ঠান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুক্ত আলোচনাসহ তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন ডিসিরা। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে ডিসিদের কার্য অধিবেশন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, স্পিকারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও একটি সমাপনী অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানা গেছে, সম্মেলনের সময় জেলা প্রশাসকরা একদিন সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর আমন্ত্রণে নৈশভোজে অংশ নেবেন। এছাড়া প্রধান বিচারপতির আমন্ত্রণে একটি অধিবেশনও অনুষ্ঠিত হবে। চিকিৎসার জন্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দেশের বাইরে থাকায় এবার তার সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের অধিবেশনটি নাও হতে পারে।
Posted ৩:৩৮ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৩ মার্চ ২০২৪
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta