ভারত বনাম পাকিস্তান এই একটা ম্যাচই যথেষ্ট যে কোনও ক্রিকেট প্রেমিকে মাঠমুখো করতে। শুধু ক্রিকেট প্রেমিই নন, যাঁরা কখনও ক্রিকেটকে ভালবেসে স্টেডিয়ামে যাননি বা টিভিতেও চোখ রাখেননি, তাঁরাও এক রাশ উত্তেজনা সঙ্গে নিয়ে চোখ রাখেন টেলিভিশনের পর্দায়। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ শুধু ক্রিকেট মাঠেই সীমাবদ্ধ থাকে না, এর উত্তাপ ছড়িয়ে পরে দেশ থেকে দেশান্তরে।

আইসিসি ইভেন্টে ভারত-পাকিস্তান দু’দলই বহুবার একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে। তবে, অধিকাংশ সময়ই ভারতের কাছে পর্যুদস্ত হতে হয়েছে পাকিস্তানকে।

এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপে ছ’বার ভারতের মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু ছ’বারের চেষ্টায় এক বারও হারাতে পারেনি ভারতকে। এমনকি ১৯৯২ বিশ্বকাপ জয়ী ইমরান খানের পাকিস্তানও হারাতে ব্যর্থ হয় ভারতকে।  ১৯৯২-এর পর ১৯৯৬ তেও ভারতের কাছে পর্যুদস্ত হয় পাকিস্তান। এর পর আর কখনই ভারতকে হারাতে পারেনি পাকিস্তান।

১৯৯৯, ২০০৩, ২০১১, ২০১৫ প্রতিটি বিশ্বকাপেই ভারতের মুখোমুখি হলেও হারের মুখ দেখতে হয়েছে প্রতিবেশি এই রাষ্ট্রটিকে। শুধু বিশ্বকাপেই নয়  টি২০ বিশ্বকাপেও চার বার পাকিস্তানকে হারিয়েছে ভারত। ২০০৭ সালে পাকিস্তানকে হারিয়েই প্রথমবারের জন্য টি২০ বিশ্বকাপ জিতেছিল ধোনির ভারত। এর পর ২০১২ এবং ২০১৪ তেও ভারতের কাছে নতিস্বীকার করতে হয় পাকিস্তানকে।

তবে, বিশ্বকাপের মঞ্চে ভারতের কাছে বারবার ঠোক্কর খেতে হলেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানের ফলাফল তুলনামূলক ভাল। আইসিসির এই ইভেন্টে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছে চার বার। যার মধ্যে ভারত জিতেছে ২টি এবং পাকিস্তান ২টি।

২০০৪ সালে ইংল্যান্ডে হওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তান। এরই পুনরাবৃত্তি ঘটে ২০০৯-এ সেঞ্চুরিয়ানে। পাকিস্তানের ৩০২ রানের জবাবে ভারতের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ২৪৮ রানে। কিন্তু এর পর থেকে ধীরে ধীরে পরিসংখ্যানে উন্নতি ঘটায় টিম ইন্ডিয়া।

২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ডাক-ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে পাকিস্তানকে দু’উইকেটে হারিয়ে দেয় ধোনির ভারত। চলতি চ্যাম্পিয়ান্স ট্রফিতেও পাকিস্তানকে হার স্বীকার করতে হয় ভারতের সামনে।