কক্সবাংলা ডটকম(২৫ জুলাই) :: ‘গেরিলা’র বিলকিস বানু, ‘চোরাবালি’র নবনী আফরোজ আর ‘জিরো ডিগ্রি’র সোনিয়া— তিন ছবির তিন চরিত্র। কাহিনী, অভিনয়ে এদের কারো সঙ্গে কোনো মিল নেই। তবে ভাগ্যদেবী এ তিন চরিত্রকে আলাদা চোখে দেখেছেন। এ তিন চরিত্রকে ধারণ করে তিন তিনবার অভিনেত্রী জয়াআহসানের গলায় উঠল চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মাননা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
সর্বশেষ জিরো ডিগ্রিতে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী ক্যাটাগরিতে ২০১৫ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন জয়া। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ভীষণ উচ্ছ্বসিত ও আনন্দিত তিনি। জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে এ পুরস্কার নিতে পারাটা তার কাছে সবসময়ই বিশেষ গৌরবের। তার ওপর আবার গতকাল মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে নিজেকে নিয়ে শুনেছেন প্রশংসা বাণী। মুখোমুখি হয়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জনের অনুভূতি জানালেন আরেকবার—
চলচ্চিত্রে দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। সংশ্লিষ্ট সবাইকে অশেষ কৃতজ্ঞতা যে, আমাকে তারা তৃতীয়বারের মতো এ পুরস্কারের জন্য যোগ্য মনে করেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে এ পুরস্কার নিতে পারার সুযোগটাও আমার জন্য একটু বেশি গর্বের। এজন্য আমার ভীষণ ভালো লাগছে, আমি আনন্দিত। আর তিনি তার ভাষণে আমাকে নিয়ে কথা বলায় আমি তার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই।
না, আমি এটাকে মোটেও চাপ বলব না। কারণ পুরস্কারের আশায় তো কোনো শিল্পী কাজ করে না, আমিও করি না। তার পরও কাজের স্বীকৃতি পেলে সামনে এগোনোর ব্যাপারে উত্সাহবোধ করি, ভালো লাগে। নিজের কাজের স্বীকৃতি কাজে আনন্দ ও আগ্রহ বাড়িয়ে দেয়।
প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার গ্রহণ করব, এই কথা যখন সকালে (গতকাল) আমার একজন প্রিয় মানুষ জানতে পেরে এমনভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করল যে, তার সেই অনুভূতি কাছ থেকে না দেখলে বোঝানো সম্ভব নয়। নিজের অর্জনের গর্ব অপরের মুখে ভেসে উঠতে দেখতে পারার অনুভূতি সত্যিই চমত্কার। সত্যিই খুব ভালো লাগে। আমার প্রিয় মানুষেরা যখন আমার সামনে বলে, তারা আমার জন্য গর্বিতবোধ করে, তখন তো আমরাও ভালো লাগে, তাই না। এই ভালোবাসাটা সবসময়ের।
প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আজীবন সম্মাননা নিচ্ছেন শাবানা ছবি
শ্রেষ্ঠযারা…
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পে গৌরবোজ্জ্বল ও অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আরো ২৫টি বিভাগে শিল্পী ও কলাকুশলীদের মধ্যে গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে ২০১৫ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন—
সেরা চলচ্চিত্র: বাপজানের বায়োস্কোপ ও অনিল বাগচীর একদিন (যৌথভাবে)
শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র: একাত্তরের গণহত্যা ও বধ্যভূমি (যৌথভাবে)
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক: মোরশেদুল ইসলাম (অনিল বাগচীর একদিন) ও মো. রিয়াজুল মওলা রিজু (বাপজানের বায়োস্কোপ)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্র: মাহফুজ আহমেদ (জিরো ডিগ্রি) ও শাকিব খান (আরো ভালোবাসবো তোমায়) (যৌথভাবে)
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্র : জয়া আহসান (জিরো ডিগ্রি)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব চরিত্র: গাজী রাকায়েত (অনিল বাগচীর একদিন)
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্ব চরিত্র: তমা মির্জা (নদীজন)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা খল চরিত্র: ইরেশ যাকের (ছুঁয়ে দিল মন)
শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী: যারা যারিব ও প্রমিয়া রহমান (প্রার্থনা)
শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক: সানী জুবায়ের (অনিল বাগচীর একদিন)
