
নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া :: আবারও পুরোদমে ইয়াবা কারবারে জড়িয়ে পড়ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হওয়া সেই ইয়াবা ব্যবসায়ী মোজাম্মেল হক।
প্রায় দশ মাস আগে নিজ বাড়ি থেকে আট হাজার পিস ইয়াবা ও ইয়াবা বিক্রির টাকাসহ র্যাবের হাতে আটক হয়েছিলেন সদর ইউনিয়নের পুর্ব বিলহাসুরা গ্রামের মৃত আবদুল জলিলের ছেলে মোজাম্মেল হক।
প্রায় তিন মাস জেল খেটে এলাকায় ফিরে পুনরায় পুরানো পেশায় জড়িয়ে পড়েছেন তিনি।
স্থানীয় লোকজন বলছেন,ইয়াবা কারবারিতে শুধু মোজাম্মেল একা নন,তাঁর পুরো পরিবার জড়িত। খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায় তাঁর স্ত্রী,দুছেলে রুবেল ও নয়ন, পূত্রবধূও জড়িত।
ইয়াবা বিকিকিনি এখন তার বাড়িতে ওপেন সিক্রেট।
পুলিশ জানিয়েছেন মোজাম্মেল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরে আছেন। কৌশল পাল্টানোর কারনে তিনি অধরা আছেন।
নির্ভরযোগ্যসুত্র জানিয়েছেন,জেল থেকে ফিরেই মোজাম্মেল আরো বেশি বেপরোয়া হয়েছেন। ব্যবসার প্রসার বেড়ে তাঁর। প্রতিদিন দিনরাত সমানতালে চালিয়ে যাচ্ছেন ইয়াবা কারবার।
টেকনাফ থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে পেকুয়াসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ দিয়ে থাকেন ইয়াবা গডফাদার মোজাম্মেল।
পাইকারি সরবরাহ দিয়ে থাকে মোজাম্মেল। খুচরায় হাতবদল করে তাঁর দুছেলে রুবেল, নয়ন, স্ত্রী ও পূত্রবধূ। তাদের হাতে ইয়াবা এখন সহজলভ্য।
স্থানীয়রা জানায়, সন্ধ্যা হলে ইয়াবার আসর বসে তাঁর বাড়িতে। উঠতি বয়সের ছেলেদের আনাগুনা বেশি দেখা যায়। তাঁরা ডাকু প্রকৃতির হওয়ায় এসবের প্রতিবাদ করার কেউ সাহস পায়না।
কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের ওপর নেমে আসে নির্যাতনের খড়ক। বখাটেপনা ও ইয়াবাখোরদের অবাধ বিচরণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসি।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওমর হায়দার বলেন, তাঁর বিষয়ে পুলিশ নজরদারিতে আছে। মাদক নিয়ে পুলিশের জিরু টলারেন্স ঘোষণা আছে।
এব্যাপারে জানতে মোজাম্মেল হকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু সংযোগ বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

Posted ৭:৪০ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২০ আগস্ট ২০২৩
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta