হুমায়ূন রশিদ,টেকনাফ(৭ জুলাই) :: সাগরে সৃষ্ট নিম্মচাপের কারণে ভারীবর্ষণ অব্যাহত থাকায় পাহাড় ধ্বসে প্রাণহানির আশংকা থেকে রক্ষার জন্য টেকনাফের ৪টি ইউনিয়নে পাহাড়ের পাদদেশে অতি ঝুঁকিতে বসবাসরতদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে প্রচারণা চালানো হলেও অনেকে আমলে নিচ্ছেনা।
জানা যায়,৭ জুলাই সকাল হতে উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগ উপজেলার হোয়াইক্যংয়ের লম্বাঘোনা, মনিরঘোনা, চাকমারকূল, লাতুরীখোলা, দৈংগ্যাকাটা, আমতলী, পশ্চিম লম্বাবিল, পশ্চিম কাঞ্জরপাড়া চেয়ারম্যান ঘোনা, পশ্চিম নয়াপাড়া, পশ্চিম ঝিমংখালী, সাতঘরিয়া পাড়া, কম্বনিয়া পাড়া, হ্নীলা ইউনিয়নের মরিচ্যাঘোনা, রোজারঘোনা, আলী আকবর পাড়া, পশ্চিম পানখালী ভিলেজার পাড়া, পশ্চিম সিকদার পাড়া, লেচুয়াপ্রাং, উলুচামরী, পশ্চিম জাদিমোরা, পৌর এলাকার উপজেলা পাহাড়, টেকনাফ সদরের ফকিরা মোরা, নাজিরঘোনা, বৈদ্যরঘোনা, নাইট্যংপাড়া, ধুমপেরাং ঘোনা, ঘিলাতলী, শিয়াইল্যা ঘোনা, উমেরছড়া, কেরুনতলি, বরইতলি, বাহারছড়ার নোয়াখালী পাড়া হতে শাপলাপুর পুরান পাড়া পর্যন্ত পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পাহাড়ের পাদদেশে স্থানীয়দের পাশাপাশি অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা জনসাধারণ পলিথিন,বাঁশের ঝুপঁড়ি, মাটিঘর, সেমিপাকা ও অনেকে পাকা ঘর তৈরি করে বসবাস করে আসছে।
ঝুঁকিতে বসবাসকারী জনসাধারণকে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এসব এলাকার জনসাধারণকে প্রয়োজনে পার্শ্ববর্তী স্কুল বা আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগের পক্ষ থেকে সর্তকতামূলক এই প্রচারণা চালানোর পরও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজন নিরাপদ স্থানে সরে যায়নি।
এই ব্যাপারে টেকনাফ রেঞ্জ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সাজ্জাদ হোসাইন জানান, টেকনাফ রেঞ্জের ১০৫টি সহ পুরো উপজেলায় ২৫টি পাহাড়ের পাদদেশে প্রায় ৪শতাধিক পরিবার ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস কর আসছে। সাগরে নি¤œচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধ্বসের আশংকায় ঝুঁকিপূর্ণ পরিবার গুলোকে সরে যেতে মাইকিং করা হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা প্রশাসনের প্রধান নিবার্হী রবিউল হাসান সাংবাদিকদের জানান, এখন বর্ষাকালে সাগরে নিম্মচাপের কারণে টানা ভারী বৃষ্টিতে পাহাড় ধবসের আশঙ্কা রয়েছে। তাই উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী লোকজনকে সরে যেতে মাইকিং করে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এতে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারী লোকজন সরে না এলে তাদের স্থায়ীভাবে উচ্ছেদের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
