কক্সবাংলা রিপোর্ট(৮ মার্চ) :: জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী, দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত নির্দিষ্ট করা আছে ১: ৩০। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৪৭টি। এসব বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছে ১ কোটি ৭৩ লাখ ৩৮ হাজার ১০০ শিক্ষার্থী। আর শিক্ষক রয়েছেন ৬ লাখ ৮৫ হাজার ৪০০। এর মধ্যে সরকারি বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৩৮ হাজার ৯১৬। এ বিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষার্থী রয়েছে ৮৯ লাখ ৩২ হাজার ৬১২ জন। তাদের পাঠদানে রয়েছেন ২ লাখ ৩৬ হাজার ৩১৮ জন শিক্ষক।
আর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য বলছে, প্রাথমিকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা জেলা কক্সবাজার।
অনুসন্ধানে জানা যায়,কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিনের জিনজিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৬৪ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক মাত্র একজন। প্রাক-প্রাথমিকসহ ছয়টি শ্রেণীতে বিদ্যালয়ের একমাত্র সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ রফিকই পাঠদান করেন। প্রশাসনিক কাজে তিনি বাইরে গেলে বন্ধ থাকে পাঠদান কার্যক্রম। জিনজিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতোই শিক্ষক সংকটে ভুগছে কক্সবাজারের ৮ উপজেলা। যার কারণে জেলার বেশির ভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ই সে লক্ষ্যমাত্রা থেকে বেশ পিছিয়ে।
শিক্ষক সংকটের বিষয়টি স্বীকার করে কক্সবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম বলেন, ‘শূন্য পদের তুলনায় শিক্ষক নিয়োগের হার কম। তাই এ সংকট। বিভিন্ন উপজেলায় পরিদর্শনে গেলে শিক্ষক সংকটের বিষয়টি আমাদের অবগত করা হয়। কিছুদিন আগেও সেন্ট মার্টিন গিয়ে শিক্ষক সংকটের বিষয়টি দেখে এসেছি। নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ দিলে সংকটে থাকা বিদ্যালয়ের শূন্যপদগুলো পূরণে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।’
Posted ১১:২৩ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৯ মার্চ ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta