কক্সবাংলা ডটকম(২০ জানুয়ারি) :: দেশে বর্তমানে মোট ভোটার ১০ কোটি ৯৬ লাখ ৬ হাজার ১৮৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫ কোটি ৫৩ লাখ ২৫ হাজার ২৯২, নারী ৫ কোটি ৪২ লাখ ১৩ হাজার ৪২৯ এবং ৩৫৩ জন হিজড়া ভোটার। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় দেশে মোট ভোটার ছিল ১০ কোটি ৪১ লাখ ৪২ হাজার ৩৮১ জন।
৬৭ লাখ ৫৮ হাজার ৩৪১ জন নতুন ভোটার যুক্ত করে সোমবার বিকালে হালনাগাদের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যাচাই-বাছাই শেষে আগামী ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এবারই প্রথম হিজড়া ভোটারের তথ্য সংগ্রহ ও প্রকাশ করা হলো।
জানা গেছে, হালনাগাদে প্রায় ৯৬ লাখ নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করা হয় এবার। এর মধ্যে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি যাদের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হয়েছে এমন ৬৭ লাখের খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। বাকিদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ২০২২ ও ২০২৩ সালে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম জানান, নতুন ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৩৫ লাখ ৮২ হাজার ১৬৩, নারী ৩১ লাখ ৭৫ হাজার ৮২৫ এবং হিজড়া ৩৫৩ জন। দ্বৈত ভোটার ও মৃত্যুজনিত কারণে
হালনাগাদে বাদ পড়েছেন ১৩ লাখ ৯২ হাজার ২৩৬ ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ৮ লাখ ২৯ হাজার ৮৪০, নারী ৫ লাখ ৬২ হাজার ৩৯৬ জন। এগুলো বাদ দিয়ে এবার ভোটার বেড়েছে ৫৩ লাখ ৬৬ হাজার ১০৫ জন।
মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘এবারের হালনাগাদে দ্বৈত ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন ২ লাখ ৭ হাজার ৬৩৫ জন। যাচাই-বাছাই করে সেই অপচেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া ১ জানুয়ারি ২০০২-এর আগে যাদের জন্ম তাদের এবার ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাকি দুবছরের তথ্য আগাম সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। এদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নাম স্বয়ংক্রিয়ভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের সব নাগরিকেরই এনআইডি পাওয়ার অধিকার রয়েছে। তবে আমরা বর্তমানে ১০ বছর বয়সীদের এনআইডি দেওয়ার লক্ষ্যে কার্যক্রম হাতে নিচ্ছি। ধীরে ধীরে সবাইকেই তা দেওয়া হবে। এরই মধ্যে ১৬ ও ১৭ বছর বয়সীদেরও তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তাদের ১০ আঙুলের ছাপ, ছবি ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি নেওয়া হয়েছে। জেলা পর্যায়ে আমাদের কার্যক্রম চলছে। দ্রুততম সময়ে তাদের আমরা এনআইডি দেব।’
এদিকে সরকার বেশ কয়েক বছর আগে হিজড়াদের তৃতীয় লিঙ্গের স্বীকৃতি দিলেও ভোটার তালিকায় সেই পরিচয়ে অন্তর্ভুক্তির সুযোগ পাননি। নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা বিধিমালার জটিলতার কারণেই এটি সম্ভব হয়নি। বিধিমালা সংশোধনের পর এবারই প্রথম তাদের তথ্য সংগ্রহ ও প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানান জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক।
তিনি আরও জানান, প্রকাশিত খসড়া তালিকা ইউনিয়ন পরিষদ, থানা বা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব স্থানে প্রদর্শন করা হবে। এতে কোনো ভুল থাকলে বা কেউ যুক্ত হতে চাইলে বা কোনো সংশোধন থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। তা নিষ্পত্তি করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি। এর পর নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া শেষে ১ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।
Posted ১:৫০ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta