কক্সবংলা ডটকম(২৩ ফেব্রুয়ারি) :: একসময় বাংলাদেশে অভাব হলেই শোনা যেতো, পেটে ভাত নেই। আর এখন তেলের দাম, পেঁয়াজের দাম, গরুর মাংসের দাম, এটা কি একটা পরিবর্তন নয়? পনের বছরে এই পরিবর্তনটা এসেছে। পনের বছর আগে ছিল ভাতের জন্য হাহাকার, এখন এগুলো নেই।
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশ নেয়ার অভিজ্ঞতা জানাতে শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি বলেন, যারা সংকট সৃষ্টি করতে বস্তাভর্তি পেঁয়াজ পানিতে ফেলে দিচ্ছে, তাদের গণধোলাই দেয়া উচিত।
ডিম লুকিয়ে রেখে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, আপনাদের কি মনে হয় না, যারা সরকার উৎখাতের আন্দোলন করে এখানে তাদের কারসাজি আছে?
তিনি আরো বলেন, আমরা (সরকার) কিছু করলে বলা হবে, সরকার করেছে। তার থেকে জনগণ যদি এর প্রতিকার করে তাহলে আর কেউ কিছু বলতে পারবে না।
‘মার্চের দিকে দেশে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির চক্রান্ত চলছে বলে আপনি নির্বাচনের আগে বলেছিলেন, দেশের তো আছেই, এই চক্রান্তে আন্তর্জাতিক মহলও জড়িত আছে—’ এমন প্রশ্নে শেখ হাসিনা বলেন, যারাই এই নির্বাচন বানচালের পক্ষে ছিল, তারা যখন দেখল নির্বাচন কিছুতেই আটকাতে পারবে না, কারণ মানুষের স্বতস্ফুর্ততা আছে, তখন চক্রান্ত হলো, জিনিসের দাম বাড়বে, সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হবে। তখন তারা আন্দোলন করে সরকার উৎখাত করবে। এটা তাদের পরিকল্পনার অংশ, এই চক্রান্তটা আছে।
অভ্যন্তরীণ বাজারে ডিমের সংকট, বাজার ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায়ীদের কারসাজি কীভাবে মোকাবেলা করবেন— এ প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ষড়যন্ত্র ছিল, ষড়যন্ত্র আছে। আপনারা জানেন, আমি আসার পর থেকে বারবার আমাকে বাধা দেয়া হয়েছে, যেন ক্ষমতায় যেতে না পারি।
পচাত্তরে জাতির পিতাকে হত্যার ঘটনাই ধরেন না কেন— রাসেলকেও ছাড়েনি, কারণ ওই রক্তের কেউ যেন বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসতে না পারে। আমি ও আমার ছোটবোন বিদেশে ছিলাম বলে বেঁচে গেছি। তার পরে আমি ফিরে এসে দায়িত্ব নিয়েছি, আমার চেষ্টা, যে স্বপ্ন নিয়ে জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করেছেন সেটা পূরণ করা।
Posted ২:৫১ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta