কক্সবাংলা ডটকম(৩০ জানুয়ারি) :: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘নবম ওয়েজ বোর্ড শুধু প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের জন্য। টেলিভিশন ও অনলাইন মিডিয়ার সংবাদকর্মীদের জন্য আপাতত কিছু করা যায়নি। কারণ এগুলোর কর্মপদ্ধতি ঠিক করা হয়নি। সরকার, মালিক ও শ্রমিক— এই ত্রিপক্ষীয় কর্মপদ্ধতি ঠিক হলে ছয় মাসের মধ্যে আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করে ওই দুটি মাধ্যমকে নবম ওয়েজ বোর্ডে একীভূত করতে পারবো।
’ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) তথ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে তিনি এসব কথা বলেন।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) প্রজ্ঞাপন জারি করে সংবাদকর্মীদের বেতন বাড়াতে নবম ওয়েজ বোর্ড গঠনের কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তথ্য মন্ত্রণালয় বোর্ডকে সব ধরনের সাচিবিক সহায়তা দেবে। বোর্ড সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মিজান উল আলম।
হাসানুল হক ইনু মঙ্গলবার জানান, এখন আর মন্ত্রণালয়ের কোনও কাজ বাকি নেই। কমিটি কাল থেকেই এ বিষয়ে কাজ শুরু করতে পারে। তিনি বলেন, ‘নবম ওয়েজ বোর্ডের প্রজ্ঞাপন জারির দিনটি সাংবাদিকদের জন্য শুভদিন।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘কমিটিতে মালিক পক্ষের প্রতিনিধি পাওয়া যাচ্ছিল না। এজন্য প্রজ্ঞাপন জারি করতে দেরি হয়েছে। মালিক পক্ষের প্রতিনিধি না পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী আমাকে ধৈর্য ধরতে বলেছিলেন। পরবর্তী সময়ে নামসহ প্রজ্ঞাপন জারি করতে পেরেছি। মালিক পক্ষের নাম বাদ দিয়ে কমিটি গঠন করলে ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন অনেক কঠিন হতো।’
এখনও অষ্টম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন না হলেও অনেক প্রতিষ্ঠানকে সরকারি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সাংবাদিকরা।
এ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এজন্য বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের (ডিএফপি) নেতৃত্বে একটি মনিটরিং কমিটি আছে। সেখানে সরকারের সঙ্গে মালিক, সাংবাদিক ও কর্মচারী প্রতিনিধিরা থাকেন। কমিটি যখন কোনও প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সনদ দেয় তখনই সেই প্রতিষ্ঠান সরকারি সুযোগ-সুবিধা পায়।’
এ অভিযোগ প্রসঙ্গে যোগ করে ইনু আরও বলেন, ‘ওয়েজ বোর্ড না দিয়েও সুযোগ-সুবিধা নেয় এমন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে এখনও আমরা নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিতে পারতাম। তবে ওয়েজ বোর্ডের ওপর আস্থা রাখুন, আপনারা সুফল পাবেন।’
নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড গঠনোত্তর সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, প্রধান তথ্য অফিসার কামরুন নাহার
এর আগে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. নিজামুল হককে চেয়ারম্যান করে নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড গঠন করে সরকার। এর সদস্যরা হলেন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সভাপতি মতিউর রহমান, সহ-সভাপতি এ কে আজাদ, কোষাধ্যক্ষ মতিউর রহমান চৌধুরী, সদস্য মাহ্ফুজ আনাম, তাসমিমা হোসেন, সংবাদপত্র পরিষদের আহ্বায়ক জি কিবরিয়া চৌধুরী।
অন্যদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজ) সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, মহাসচিব ওমর ফারুক, সংবাদপত্র কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি মতিউর রহমান তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম, ফেডারেল ইউনিয়ন অব নিউজপেপার প্রেস ওয়ার্কার্সের আলমগীর হোসেন খান ও মহাসচিব মো. কামালউদ্দিন।
২০১৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর অষ্টম মজুরি কাঠামো ঘোষণা করেছিল সরকার। সংবাদকর্মীদের মূল বেতনের ৭৫ শতাংশ বাড়ানো হয় তখন।
Posted ৬:০৪ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারি ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta