কক্সবাংলা ডটকম(২৬ ডিসেম্বর) :: নিউইয়র্কে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিন ঘণ্টার ব্যবধানে বাংলাদেশি বাবা-ছেলের করুণ মৃত্যু হয়েছে। মারা গেছেন আরও এক তরুণ বাংলাদেশি ইমিগ্রেশন আইনজীবী।
গত ১৯ ডিসেম্বর শনিবার নিউইয়র্কের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ খাইরুজ্জামান এবং তার একমাত্র ছেলে আবুল বাশার পান্না। বাবা-ছেলে দুজনই তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তারা নিউইয়র্কের ব্রুকলীনে বসবাস করতেন।
বাবা-ছেলের এমন আকস্মিক মৃত্যুর খবরে কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আবুল বাশার পান্না মৃত্যুকালে স্ত্রী এবং তিন কন্যা রেখে গেছেন। তার পরিবারের সবাই করোনায় আক্রান্ত এবং বর্তমানে বাসায় চিকিৎসাধীন।
জানা গেছে, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ খাইরুজ্জামান ও আবুল বাশার পান্না তাদের পরিবার নিয়ে সম্প্রতি থ্যাংকস গিভিং ডে পালন করতে এক নিকটাত্মীয়ের বাসায় যান। সেখানেই তারা করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের পরিবারের অন্য সদস্যরা বর্তমানে অনেকটা সুস্থ থাকলেও দীর্ঘ ২৫ দিন করোনার সাথে যুদ্ধ করে পিতা-পুত্র চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
মোহাম্মদ খাইরুজ্জামান ও পুত্র আবুল বাশার পান্নার নামাজে জানাজা গত রোববার সকালে ব্রুকলীনের মসজিদ ইমামুল বুখারীতে অনুষ্ঠিত হয় এবং পরে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। তাদের মৃত্যুতে চট্টগ্রাম সমিতি ও সন্দ্বীপ সোসাইটির নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশে থাকাকালীন মোহাম্মদ খাইরুজ্জামান ও পুত্র আবুল বাশার পান্না চট্টগ্রামের হালিশহর এবং সন্দ্বীপের বাউরিয়া কাছিম মাঝিরবাড়ির বাসিন্দা ছিলেন।
এদিকে, তরুণ ইমিগ্রেশন আইনজীবী সাইদ আলী হায়দার করোনা আক্রান্ত হয়ে গত সোমবার মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৪২ বছর। কমিউনিটির পরিচিত মুখ সাইদ আলী হায়দার আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে কোনি আইল্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার মৃত্যুতে নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী বাংলাদেশিরা শোক প্রকাশ করছেন।
Posted ৬:২১ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২০
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta