কক্সবাংলা ডটকম(৮ নভেম্বর) :: অবাক হচ্ছেন? আরও অবাক হবেন যখন জানতে পারবেন রাশিয়ার এক তরুণ দাবি করে জানিয়েছেন, পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করার আগে সে মঙ্গলগ্রহের বাসিন্দা ছিল৷ যে মঙ্গলগ্রহকে নিয়ে বিজ্ঞানী থেকে সাধারাণ মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই, আদৌ সেখানে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল বা আছে কিনা, চলছে বছরের পর বছর গবেষণা, সেই গবেষণাকে যেন একেবারে নাড়িয়ে দিলেন বছর ২০-র এই রাশিয়ান তরুণ, নাম, বোরিস্কা মিপ্রিয়ানোভিচ৷
গবেষণা চলছে বিস্তর। উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ছে চমকপ্রদ সব ছবি। জানা যাচ্ছে নানা অজানা তথ্য। কিন্তু, মঙ্গলে কি প্রাণ আছে? এই প্রশ্নের উত্তর এখনও জানা নেই বিশ্বের তাবড় তাবড় জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের। তাই রাশিয়ার এক স্কুলছাত্রের কথায় চমকে উঠেছেন তাঁরা।
বোরিস্কা কিপ্রিয়ানোভিচ নামে ওই কিশোরের দাবি, পৃথিবীতে জন্মানোর আগে সে নাকি মঙ্গল গ্রহে ছিল!পৃথিবীর মতোই পরমাণু যুদ্ধে নাকি একসময়ে বিধ্বস্ত হয়েছিল লালগ্রহটিও!
বোরিস্কা যে আর তাঁর বয়সী আর পাঁচজনের মতো নয়, তা অবশ্য জন্মের পরই টের পেয়েছিলেন তাঁর বাবা-মা। রাশিয়ার ভলগোগার্ড শহরের বাড়ি বছর কুড়ির ওই কিশোরের। এখন সে স্কুলে পড়ে। বোরিস্কার মা পেশায় চিকিৎসক।
তাঁর দাবি, জন্মের মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে কথা বলতে শিখে যায় বোরিস্কা। তখন থেকেই সে নাকি ভিনগ্রহের সভ্যতার কথা বলত সে। একরত্তি শিশুটির সঙ্গে আর যাই হোক না কেন ভিনগ্রহের সভ্যতা নিয়ে যে কেউ কথা বলেনি তা বলাই বাহুল্য। তাই একরত্তি শিশুটির কথা শুনে বিস্মিত হন তাঁরা বাবা-মা। চমক আরও আছে।
বোরিস্কার মায়ের বক্তব্য, জন্মের কয়েক সপ্তাহ পর থেকেই কারও সাহায্য ছাড়াই নিজের ঘাড় সোজা রাখতে পারত তাঁর ছেলে। এমনকী, বোরিস্কা যখন লিখতে, পড়তে ও ছবি আঁকতে শুরু করে, তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র দুই। বাবা-মা তো বটেই, এই ঘটনায় হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন চিকিৎসকরাও।
তা মঙ্গলগ্রহ সম্পর্কে আর কী কী বলেছে বোরিস্কা? ওই কিশোরের দাবি, মঙ্গলগ্রহের বাসিন্দারা প্রায় সাত ফুট লম্বা। মাটির নিচে থাকে তারা। নিশ্বাস নেয় কার্বন-ডাই-অক্সাইডে। শুধু তাই নয়, লালগ্রহের বাসিন্দারা অমর। ৩৫ পেরোলে আর বয়স বাড়ে না তাঁদের। প্রযুক্তিগতভাবে পথিবীর বাসিন্দা থেকে অনেক এগিয়ে মঙ্গলগ্রহের বাসিন্দারা।
নক্ষত্রমণ্ডলে ঘুরে বেড়াতে পারে তারা। পৃথিবীর সঙ্গে মঙ্গলগ্রহের সম্পর্কে কথাও বলেছে ওই রুশ কিশোর। বোরিস্কার দাবি, প্রাচীন মিশরের সঙ্গে মঙ্গলগ্রহের বাসিন্দাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। সেসময় পাইলট হয়ে একবার পৃথিবীতে এসেছিল সে।
ওই কিশোরের সংযোজন, মিশরের গির্জা স্ফিংক্সের তালা যদি খোলা যায়, তাহলে পৃথিবীর মানুষের জীবন অদ্ভুভভাবে বদলে যাবে। গির্জারই একটি কানের ভিতর নাকি তালা খোলার কলাকৌশল রয়েছে বলে জানিয়েছে বোরিস্কা।
Posted ১:০৫ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০৮ নভেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta