
নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া :: কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা আমিনুল কবির রানার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে।
ইউনিয়ন পরিষদের মোট ১২ জন নির্বাচিত ইউপি সদস্য এক যৌথ আবেদনের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তাঁর অপসারণের দাবি জানিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত উদ্যোক্তা আমিনুল কবির রানা (৩৪) দীর্ঘদিন ধরে মগনামা ইউনিয়ন পরিষদে উদ্যোক্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চান্দার পাড়া এলাকার মোহাম্মদ হোছাইনের পুত্র।
অভিযোগকারীদের দাবি, উদ্যোক্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুবাদে তিনি ইউনিয়ন পরিষদে আগত সেবাপ্রার্থী সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন সেবার বিপরীতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে আসছেন।
তাঁদের অভিযোগ, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে মাতৃত্বকালীন ভাতা আবেদন, ভিজিডি কার্ড, টিসিবি কার্ড, জন্ম নিবন্ধন, ভোটার আবেদন, নাগরিক সনদ, জাতীয়তা সনদ, প্রত্যায়নপত্রসহ বিভিন্ন সেবার ক্ষেত্রে নির্ধারিত ফি’র তিনগুণ পর্যন্ত টাকা আদায় করেন তিনি।
এমনকি সংরক্ষিত মহিলা সদস্যদের কাছ থেকেও মাতৃত্বকালীন ভাতার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা করে নিয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইউপি সদস্যরা আরও অভিযোগ করেন, তাঁরা বারবার এসব বিষয়ে রানাকে সতর্ক করলেও তিনি কোনো প্রকার কর্ণপাত করেননি।
বরং ২০২৫ সালের ভোটার হালনাগাদের সময় এক ইউপি সদস্য দ্রুত অনলাইন আবেদন সম্পন্নের পরামর্শ দিলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ ও শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করার চেষ্টা করেন।
গত ৮ সেপ্টেম্বর ইউপি সদস্যরা তাঁর দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রতিবাদ করলে উদ্যোক্তা রানা পুনরায় ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ ও হুমকি দেন বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের ১২ জন ইউপি সদস্য যৌথভাবে গত ৬ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত আবেদন দাখিল করেন।
তাঁরা অভিযুক্ত উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও দ্রুত অপসারণের দাবি জানান।
এব্যাপারে মগনামা ইউপি’র উদ্যোক্তা আমিনুল কবির বলেন,এসব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আওয়ামী দোসর কয়েকজন মেম্বার মিলে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। তাদের অভিযোগগুলো মিথ্যা, ভিত্তিহীন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাঈনুল হোসেন চৌধুরী জানান, অভিযোগটি আমরা পেয়েছি। এছাড়া একাধিক অডিও-ভিডিওসহ তাঁর কিছু তথ্য হাতে এসেছে। যাচই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সচেতন নাগরিকদের মতে, ইউনিয়ন পরিষদে সেবা পেতে সাধারণ মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয়, সে বিষয়ে প্রশাসনের আরও কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।

Posted ১:২২ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta