কক্সবাংলা ডটকম(২০ মে) :: দেশের প্রথম নিজস্ব যোগাযোগ স্যাটেলাইট এখনো লঞ্চ অ্যান্ড ইয়ারলি অরবিট ফেজে (LEOP) রয়েছে। এটি ধীরে ধীরে সতর্কতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে নিজ কক্ষপথ ১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে।
আশা করা হচ্ছে, আগামী মঙ্গলবার তা এই কক্ষপথে পৌঁছবে। এরপর শুরু হবে শেষ পর্ব ইন অরবিট টেস্ট। এতে কমপক্ষে ১৯ দিন সময় লাগতে পারে। এরপর দেশের গ্রাউন্ড স্টেশনে পূর্ণ যোগাযোগ স্থাপনে সক্ষম হবে ‘বঙ্গবন্ধু-১’।
এই স্যাটেলাইট প্রকল্পের পরিচালক মো. মেজবাউজ্জামান রবিবার বলেন, ‘সাধারণত উৎক্ষেপণের পর এ ধরনের স্যাটেলাইটের নিজস্ব অরবিটাল পজিশনে যেতে ১১ দিনের মতো সময় লাগে। সে হিসাবে আমাদের ধারণা, ২২ মে এটি নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে যাবে। অরবিটাল পজিশনে পৌঁছানোর পর শুরু হবে আইওটি টেস্ট। এতেও ১৯ দিন বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে। সব মিলিয়ে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে আগামী মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।’
এদিকে বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কম্পানির এক কর্মকর্তা জানান, বঙ্গবন্ধু-১-এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফ্রান্সের থালিস এলিনিয়া স্পেস ফ্যাসিলিটিতে কম্পানির একজন প্রকৌশলী অবস্থান করছেন। তিনি সেখান থেকে এই স্যাটেলাইট সম্পর্কিত সব তথ্য সংগ্রহ করছেন এবং তা বাংলাদেশকে জানাচ্ছেন। ওই প্রকৌশলীর কাছ থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুসারে সব প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রয়েছে।
বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দিনগত রাত ২টা ১৪ মিনিটে উৎক্ষেপণের ৩৩ মিনিটেই মহাকাশের ৩৫ হাজার ৭০০ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছে যায় বঙ্গবন্ধু-১। বাকি ৩০০ কিলোমিটার পথ যাচ্ছে ধীরে ধীরে সতর্কতার সঙ্গে। এর জন্য কয়েক দিন সময় লাগতে পারে। তবে ওই ৩৩ মিনিট পরই নিজের অবস্থান জানান দিতে শুরু করেছে স্যাটেলাইটটি।
এটির নিয়ন্ত্রণ এখন স্পেসএক্সের যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি ও দক্ষিণ কোরিয়ার তিনটি গ্রাউন্ড স্টেশনের হাতে। এসব স্টেশনেই বার্তা পৌঁছাচ্ছে বঙ্গবন্ধু-১ থেকে। এয়ার ট্রাফিক এড়িয়ে কক্ষপথের নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান নিতে এবং দেশের দুটি গ্রাউন্ড স্টেশনের নিয়ন্ত্রণে আসতে আট থেকে ১০ দিনের মতো সময় লাগবে।
এদিকে দেশের এই অর্জন উদ্যাপনে রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য বিভাগীয় শহর এবং জেলা-উপজেলা পর্যায়েও উৎসব আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। ঢাকায় মূল অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Posted ১:০৭ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২১ মে ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta