কক্সবাংলা ডটকম(৩০ জুন) :: আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যিক বিরোধের মধ্যে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচটি দেশের পণ্যে আমদানি শুল্ক কমিয়ে দিল চিন। বিশ্বের অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী চিনের এই পদক্ষেপকে বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের জন্য শুভ মনে করেছেন দেশের ব্যবসায়ীরা।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, বাংলাদেশ, লাওস ও শ্রীলংকার কিছু পণ্য আমদানিতে চিনের শুল্ক ছাড়ের কথা উঠে আসে।
২০০১ সালে স্বাক্ষরিত এশিয়া প্যাসিফিক ট্রেড এগ্রিমেন্টের আওতায় এই পদক্ষেপ নিয়েছে চিন। এই সিদ্ধান্ত জুলাই থেকে কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছে চিনের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম।
চিনের এই উদ্যোগ বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের জন্য ‘ইতিবাচক’ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।
বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে চিনসহ আরও কয়েকটি দেশে আগে থেকেই ‘ডিউটি ফ্রি’ সুবিধা পেয়ে থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এখন ট্যারিফ নীতিতে ইতিবাচক পদক্ষেপ রপ্তানির সম্ভাবনাকে আরও বাড়াবে।”
চিন ও মার্কিন বাণিজ্যিক বিরোধের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র বড় অর্থনীতির দেশ। চিনের পণ্যের ওপর ট্যারিফ আরোপের পদক্ষেপ সেই দেশে তেমন প্রভাব না ফেললেও চিনের বাজারে বেশ প্রভাব পড়বে। চিন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির আকার বেশ বড়। তাই তারা অন্যান্য দেশের সঙ্গে এধরনের পদক্ষেপ নিয়ে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা চালাবে।”
চলতি বছরের শুরু থেকেই আমেরিকা ও চিন একে অন্যের পণ্যে একের পর এক শুল্ক আরোপ করছে। কিন্তু চিন সরকার বাংলাদেশসহ সংশ্লিষ্ট দেশগুলো থেকে সয়াবিন আমদানির ওপর বিদ্যমান তিন শতাংশ শুল্ক তুলে নিচ্ছে।
সয়াখাদ্যের উপর থেকেও বিদ্যমান ৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার হচ্ছে। এছাড়াও রাসায়নিক দ্রব্য, কৃষিপণ্য, মেডিকেল যন্ত্রাংশ, পোশাক, স্টিল, নন ফেরোস মেটাল, তরল পেট্রোলিয়াম পণ্যে ২ থেকে ৩ শতাংশ হারে শুল্ক প্রত্যাহার হবে।
Posted ৭:১৪ অপরাহ্ণ | শনিবার, ৩০ জুন ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta