কক্সবাংলা ডটকম(৩ সেপ্টেম্বর) :: ভারতের দু’দিকে রয়েছে দুই শত্রু দেশ। যে কোনও সময় তৈরি হতে পারে যুদ্ধের পরিস্থিতি। ঠিক যেমন কিছুদিন আগেই ডোকলাম ইস্যু নিয়ে চিনের সঙ্গে ভারতের সংঘাত চরমে পৌঁছেছিল।
আর সেই পরিস্থিতিতে ভারতের প্রচুর অস্ত্রের প্রয়োজন বলে জানালেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ তথা ভারতের গবেষক ড, সুধীর মিশ্র। ডিআরডিও-র ব্রহ্মোস মিসাইল সিস্টেমের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। আগামী ১০ বছরে ভারতকে ১৫০ বিলিয়ন বা ১৫০ কোটি ডলারের অস্ত্র কিনতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এই অস্ত্রে প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সব বেসরকারি সংস্থাকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, যে কোনও নির্মাণকারী সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে উৎসাহী ডিআরডিও। তাঁরা ওই সব সংস্থার সঙ্গে প্রযুক্তি আদান-প্রদান করবেন বলেও জানিয়েছেন।
ভারত ও রাশিয়ার জয়েন্ট ভেঞ্চার ‘ব্রহ্মোস এরোস্পেস’-এর সিইও এই সুধীর মিশ্র। এক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন তিনি। ভারতে এত অস্ত্র কিনবে যা সংস্থাগুলির কাছে একটা বড় সুযোগ বলে মনে করেন তিনি।
মূলত এয়ারক্রাফট, ট্যাংক, বন্দুক ও অন্যান্য অস্ত্রের পিছনে এই টাকা খরচ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। MiG-29 ও Mirage আধুনিকীকরণ হবে বলে জানিয়েছেন ড. মিশ্র। ৫০০টি T-90 ট্যাংক তৈরির কথাও ভাবা হচ্ছে।
কিছুদিন আগেই চিন এক চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট দেয়। বলা হয়েছে, ভারতের কাছে এই মুহূর্তে যা অস্ত্র রয়েছে তা খুবই সীমিত৷ সীমান্তে যুদ্ধ বাঁধলে অস্ত্রের ঘাটতির জেরে ভারতের অবস্থা খুবই শোচনীয় হবে বলে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিট জেনারেল(সিএজি)৷
ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, যুদ্ধের জন্য যে পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্রের প্রয়োজন হয়, সেই পরিমাণ অস্ত্র মজুত নেই৷ মোট অস্ত্রশস্ত্রের পরিমাণের মাত্র ২০শতাংশ অস্ত্র দেশে মজুত রয়েছে বলে জানানো হয়েছে রিপোর্টে৷
একইসঙ্গে ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, মাত্র ২০দিনের ওয়ার ওয়েস্টেজ রিজার্ভ করা রয়েছে৷ যেখানে ৪০দিনের ওয়ার ওয়েস্টেজ রিজার্ভ করা অত্যাবশ্যক।
একইসঙ্গে রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের কাছে ১৫২টি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রশস্ত্রের মধ্যে এই মুহূর্তে ভারতের কাছে রয়েছে মাত্র ৬১ধরনের অস্ত্র৷ যা দিয়ে মাত্র ১০দিনের বেশি যুদ্ধ চালানো সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছে ক্যাগ৷
Posted ১:২২ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta