কক্সবাংলা ডটকম(১৫ আগস্ট) :: স্বাধীনতা দিবসের দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণার মধ্যে একটি হল, ২০২২-এ মহাকাশে মানুষ পাঠাবে ভারত। আর সেই ঘোষণার কথা নিশ্চিত করলেন ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবান। তিনি জানালেন, ইতিমধ্যেই এবিষয়ে কাজ করছে ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
বুধবার স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান, ২০২২ সালে কোনও ভারতীয় পুরুষ বা মহিলা ‘গগনযান’-এ মহাকাশে পাড়ি দেবেন। ভারতের জাতীয় পতাকা মহাকাশে উড়বে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সেই প্রসঙ্গে কে শিবান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের সামনে ২০২২-এর টার্গেট সেট করে দিয়েছেন, আমাদের কর্তব্য তা পূরণ করা। আমরা ইতিমধ্য়েই এই কাজে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছি। তবে কাজ এখনও অনেক বাকি।
তিনি জানিয়েছেন, প্রযুক্তিগত অনেক কাজ বাকি আছে। এখন আমাদের লক্ষ্যমাত্রাকে অগ্রাধিকার দিয়ে সেখানে পৌঁছতে হবে।’
রাশিয়া, আমেরিকা ও চিনের পর ভারত চতুর্থ দেশ হিসেবে মহাকাশে মানুষ পাঠাতে চাইছে। তবে, মহাকাশে মানুষ পাঠানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল মহাকাশচারীদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা। পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করলেই মহাকাশযানগুলি বায়ুর সঙ্গে ঘর্ষণে প্রবল উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এই তাপকে সহ্য করার মতো প্রযুক্তি তৈরিই মহাকাশে মানুষ পাঠানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
২০০৭ সালেই ভারত ‘রি-এন্ট্রি’ প্রযুক্তির প্রথম পরীক্ষাটি করেছিল। ৫৫০ কেজি ওজনের একটি উপগ্রহকে মহাকাশে পাঠিয়ে ১২ দিন পর আবার তাকে সফলভাবে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। এই বাধা টপকানোর পরই দ্রুত এগিয়েছে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর কাজ।
ভারতের মহাকাশ কর্মসূচির মোট বাজেট ১৬০ কোটি মার্কিন ডলার, যা যুক্তরাষ্ট্রের বাজেটের ১০ শতাংশ ও রাশিয়ার ১৫ শতাংশের সমপরিমাণ। ফলে স্বল্প বাজেট নিয়ে ভারত বিরাট সাফল্য দেখিয়েছে।
তবে সম্প্রতি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিবেশী চীনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মহাকাশ গবেষণায় আগের তুলনায় বাজেট বাড়িয়েছে ভারত। গত সপ্তাহে এক ঘোষণায় ২০১৯ সালে চাঁদে অভিযান চালানোর কথা জানিয়েছিল ভারতের মহাকাশ সংস্থা ইসরো।
ভারত প্রথম চাঁদের রহস্য ভেদে চন্দ্রায়ন-১ ২০০৪ সালের অক্টোবর মাসে উৎক্ষেপণ করে। ২০০৯ সাল পর্যন্ত এই অভিযান চালানো হয়। চাঁদের মাটিতে জলের সন্ধান জোগাড় করে আনে চন্দ্রায়ন-১। যে অভিযান গত দুবছর ধরে শেষ হওয়ার কথা ছিল, তা শেষ হয় মাত্র ৩১২ দিনে। তবে ইসরো-র বিজ্ঞানীরা দাবি করেছিলেন, মিশনের প্রায় ৯৫ শতাংশ লক্ষ্যে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছিলেন তাঁরা। চলতি বছরে চন্দ্রায়ন-২ উৎক্ষেপণ করার কথা ভেবেছে ইসরো । কিন্তু কিছু নকশার পরিবর্তন ঘটায় স্থগিত আছে সেই অভিযান।
২০১৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ইসরো তার মঙ্গল অভিযানে উৎক্ষেপণ করেছিল মঙ্গলায়ন নামক এক মহাকাশযান। বর্তমানে মঙ্গলে প্রানের খোঁজে সফল হয়েছেন ইসরো বিজ্ঞানীরা।
Posted ৭:২৯ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৫ আগস্ট ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta