কক্সবাংলা ডটকম(১৬ জুন) :: বিশ্বের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে ভারত নিজের পা বাড়িয়ে দিচ্ছে। মহাশক্তিতে রূপান্তরিত হওয়ার জন্য ভারত নিজের পস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। সম্প্রতি ভারত যে পদক্ষেপ নিতে চলেছে NASA ও সেই পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে। অবশ্য NASA ভারতের অগ্রগতির জন্য ঈর্ষায় জ্বলতে শুরু করেছে।
ভারতীয় মহাকাশ অনুসন্ধান সংগঠন ইসরো (ISRO) অধ্যক্ষর শিবন জনিয়েছেন, ভারত নিজের মহাকাশ বা স্পেস স্টেশন বানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর জন্য ২০৩০ সালের লক্ষ ধরে রাখা হয়েছে, এবং সরকার এর জন্য ১০,০০০ কোটির বাজেট বন্টনকে আচার কোড লাগার আগেই অনুমতি দিয়ে দিয়েছিল।
এই মিশন ভারতের উচ্চাকাঙ্ক্ষী গগনয়ান মিসনেরই সম্প্রসারণ হবে ও এর জন্য ভারত কোনো দেশের সাহায্য নেবে না। এই মিশনের মাধ্যমে ভারতের নজর আবার একবার বৈশিষ্ট্যযুক্ত দেশের ক্লাবে অন্তর্ভুক্ত হয়, যার কাছে নিজের স্পেস স্টেশন আছে। এখনো অব্দি এই উপলব্ধি কেবল আমেরিকা, চীন ও রুশের কাছে আছে।
অন্তররাস্ট্রীয় স্পেস স্টেশন (ISS) কোনো একটি দেশ নয়, অনেক দেশের একটি সঙ্গের নিয়ন্ত্রণে আছে, যার মধ্যে রুশ, কানাডা, জাপান বাদে অধিকাংশ ইউরোপীয় দেশ অন্তর্ভুক্ত আছে। ২০ টনের এই স্পেস স্টেশনের প্রয়োগ অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিম্ন মাধ্যাকর্ষণে হওয়া প্রয়োগের জন্য করা হবে। প্রথম দিকের পরিকল্পনা মহাকাশ যাত্রীদের ১৫-২০ দিন থাকার ব্যবস্থা করা। যদিও পরিকল্পনার ছবি গগনয়ানের সফলতার পরই পরিষ্কার হওয়া সম্ভব।গগনয়ানের অন্তর্গত ২০২২ অব্দি এক বা দুই উড়ান প্রথমে চালক দল ছাড়া করার পর, চালক দলের সাথে ২০২২ এর কাছাকাছি সময় হবে।
আপাতত চন্দ্রযান-২ এর উপর নজর
আপাতত ইসরোর নজর চন্দ্রযান-২ এর উপর আছে, ১৫ জুলাই তে যে উড়ান দেবে। এটি চন্দ্রমার দক্ষিণী মেরুর উপর নামার চেষ্টা করবে, যেটি এখনো অব্দি মানব দ্বারা অস্পৃষ্ট। চন্দ্রযান-২ মোটামুটি দশ বছরের পুরনো মিশন চন্দ্রযান-১ এর আগামী অংশ। এটির অন্তর্গত ভারত ভারত চন্দ্রমাতে নিজের মিশন পাঠিয়েছিল।
Posted ২:৩৬ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৭ জুন ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta