শুক্রবার ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

শুক্রবার ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

মহাকাশ অভিযানে সবথেকে কম খরচে চাঁদে পাড়ি দিচ্ছে ভারত

রবিবার, ১৪ জুলাই ২০১৯
186 ভিউ
মহাকাশ অভিযানে সবথেকে কম খরচে চাঁদে পাড়ি দিচ্ছে ভারত

কক্সবাংলা ডটকম(১৪ জুলাই) :: সবথেকে কম খরচে মঙ্গল অভিযান করে রেকর্ড করেছিল ভারত তথা মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। এবার দ্বিতীয়বার চাঁদের অভিযানের ক্ষেত্রেও সেই নজির বজায় রাখল সংস্থা।

হলিউডের ছবির থেকেও অনেক কম খরচে চাঁদে পাড়ি দিচ্ছে ভারত। আর ভারতের এই মহাকাশ অভিযানের বাজেট নিয়ে বিশেষ উৎসাহ দেখিয়েছে বিদেশি জার্নালগুলি। সেখানে বলা হয়েছে সাম্প্রতিক জনপ্রিয় ছবি ‘অ্যাভেঞ্জার এন্ডগেম’-এর অর্ধেক বাজেটেই সম্পন্ন হচ্ছে ভারতের চন্দ্রাভিযান। এই অভিযানে ভারত আমেরিকা, রাশিয়া ও চিনের সঙ্গে একই তালিকায় জায়গা করে নিতে চলেছে।

অ্যাপোলো-২ অভিযানের ঠিক ৫০ বছর পর দ্বিতীয়বার চাঁদে যান পাঠাচ্ছে ভারত। চাঁদের দক্ষিণে মেরু, যেখানে অন্ধকারে জমে আছে বরফ- সেই অংশেই নামনে ভারতের মহাকাশযান। চাঁদের এই অংশে এখনও পর্যন্ত একমাত্র চিন পৌঁছতে পেরেছিল তাদের Chang’e-4 স্পেসক্রাফট নিয়ে।

রাশিয়ান সংবাদমাধ্যম ‘স্পুটনিক’-এ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই অভিযানে ভারতের খরচ হচ্ছে ১২৪ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে রয়েছে রকেট লঞ্চ করার খরচ বাবদ ৩১ মিলিয়ন ডলার ও স্যাটেলাইটের খরচ ৯৩ মিলিয়ন ডলার। আর ‘অ্যাভেঞ্জার এন্ডগেম’ তৈরি করতে খরচ হয়েছিল ৩৫৬ মিলিয় ডলার।

১৫ জুলাই, সোমবার শ্রীহরিকোটা থেকে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেবে চন্দ্রায়ন-২। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, ভারতের এই অভিযান আসলে এই দেশের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের কথা পৌঁছে দেবে গোটা বিশ্বের কাছে।

এর আগে ভারতের মঙ্গল অভিযানের সময় খরচ হয়েছিল হলিউডের ছবি ‘গ্র্যাভিটি’র থেকেও কম। আমেরিকা অ্যাপোলো-২ পাঠাতে খরচ করেছিল ২৫ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, ভারতের খরচ তার থেকেও অনেক কম।

চন্দ্রায়ন-২- এর তিনটি মডিউল রয়েছে- অরবিটার, ল্যান্ডার ও রোভার। ভিতরে থাকবে রোভার। অরবিটার, ল্যান্ডার থাকবে একসঙ্গে। ল্যান্ডারটি চাঁদের মাটিতে অবতরণের পর খুলে যাবে দরজা। তখন ল্যান্ডারের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসবে রোভার।

রোভারটি আসলে একটি গাড়ি। যা পৃথিবী থেকে রিমোট কন্ট্রোলে চালানো যায়। ওই গাড়ি চাঁদের মাটিতে চালিয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবেন বিজ্ঞানীরা। ল্যান্ডারটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বিক্রম’। রোভারটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্রজ্ঞান’।

গত কয়েক বছরে মহাকাশ গবেষণায় নজির তৈরি করেছে ভারত। চন্দ্রযান – ১-এর সফল অভিযানের পর বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে প্রথম চেষ্টায় মঙ্গলের কক্ষে যান পাঠায় ভারত।

চন্দ্রযানের নেপথ্যে দুই ‘রকেট ওম্যান’

 চন্দ্রযান-২-এর মিশন ডিরেক্টরের পদে আছেন ‘রকেট ওম্যান’ রিতু কারিদহাল শ্রীবাস্তব। প্রজেক্ট ডিরেক্টরের পদে আছেন বনিতা এম।

ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্রযানের নেপথ্যে দুই 'রকেট ওম্যান', চিনে নিন তাঁদের

১৫ জুলাই শ্রীহরিকোটায় ভারতের সব থেকে শক্তিশালী রকেটে করে চাঁদে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান-২ স্যাটেলাইট। অভিযানটি সফল হলে চাঁদে যান পাঠানো দেশগুলির তালিকায় চার নম্বরে উঠে আসবে ভারতের নাম। রোভার প্রজ্ঞান চাঁদের এমন জায়গায় পৌঁছে যাবে যেখানে আগে পৌঁছয়নি কোনও দেশ। প্রায় ১,০০০ কোটি টাকার এই অভিযানে মূলে আছেন দুই মহিলা বিজ্ঞানী। চন্দ্রযান-২-এর মিশন ডিরেক্টরের পদে আছেন ‘রকেট ওম্যান’ রিতু কারিদহাল শ্রীবাস্তব। প্রজেক্ট ডিরেক্টরের পদে আছেন বনিতা এম। এঁরাই ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্রযানের দুই মূল কান্ডারি।

 রিতু কারিদহাল শ্রীবাস্তব

চন্দ্রযান-২-এর নেপথ্যে মূল ব্যক্তিত্ব রিতু কারিদহাল। চন্দ্রযান ছাড়াও ইসরোর মার্স অরবিটার মিশন(মম)-এর ডেপুটি অপারেশন্স ডিরেক্টর ছিলেন তিনি। লখনউতে মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠেন রিতু। ছোট থেকেই মহাকাশবিজ্ঞান নিয়ে আগ্রহী তিনি। ঘন্টার পর ঘন্টা কাটাতেন রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে। লখনউ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক রিতু। এর পরে গেট পরীক্ষা দেন তিনি। গেটের ফল ভাল হওয়ায় ইন্ডিয়ান ইন্সটিউট অফ সায়েন্সে পড়ার সুযোগ পান তিনি। সেখানে এয়ারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং-এ মাস্টার ডিগ্রি করেন তিনি। মাস্টার্স-এর পর চাকরির জন্য আবেদন করেন ইসরোতে। পিএইচডি করতে করতেই ডাক পান ইসরোয় পরীক্ষা ও ইন্টারভিউ-এর জন্য। এর পর ইসরোতে যোগ দেন তিনি। মঙ্গল অভিযানে স্পেসক্রাফটের অটোনমির ক্ষেত্রে তিনিই ছিলেন মূল দায়িত্বে। শুধু তাই নয়। চন্দ্রযান-১ -এর মূল টিমেও গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন রিতু। চন্দ্রযান-২-এর প্রতিটি কার্যাবলী হবে তাঁর সতর্ক নজরে। ২০০৭-এ এপিজে আবদুল কালামের হাত থেকে ইসরো সেরা নবীন বিজ্ঞানী-র পুরস্কারও পান রিতু। আজ ‘রকেট ওম্যান অফ ইন্ডিয়া’ নামে পরিচিত তিনি।

বণিতা এম

চন্দ্রযান-২-এর প্রজেক্ট ডিরেক্টর বণিতা এমকে ছোট থেকেই আকর্ষণ করত মহাকাশের রহস্য। তামিলনাড়ুর মেধাবী ছাত্রী বণিতা ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতক। ২০০৬ সালে তিনি অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার ‘সেরা মহিলা বিজ্ঞানী’র পুরস্কার পান। চন্দ্রযান-২-এর প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিসাবে হার্ডওয়্যারের ডেভলপমেন্ট এবং অন্যান্য বিষয়ে নেতৃত্ব দেবেন বণিতা।

প্রসঙ্গত, চন্দ্রযান-২-এর প্রকল্পের বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের ৩০% মহিলা। মহাকাশবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ভারতের নাম উজ্জ্বল করতে বদ্ধপরিকর এই ‘রকেট ওম্যানরা’।

186 ভিউ

Posted ৯:৪৮ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৪ জুলাই ২০১৯

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com