এম রমজান আলী,মহেশখালী(১৪ জুলাই) :: মহেশখালীতে ব্যাঙের ছাতার মত গজে উঠেছে লাইসেন্স বিহীন ফার্নিচারের দোকান তৈরী হচ্ছে হরেক রকমের আসবাবপত্র যারফলে সাবাড় হচ্ছে বনাঞ্চল।
মহেশখালী পৌরসভা ও ৮ ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামের মোড়ে মোড়ে গড়ে তুলেছে ফার্নিচারের দোকান সেই দোকানে প্রতিদিন ব্যবহারিত হচ্ছে শতশত ফুট সেগুন, আকাশমনি সহ দেশী-বিদেশী জাতের হরেক রকমের গাছ।
পরিবেশবাদীদের শ্লোগান ‘গাছ লাগান পরিবেশ বাচাঁন’ কিন্তু বনখোকোরা প্রশাসন কে ফাঁিক দিয়ে প্রকাশ্যে বা গোপনে বনের গাছ কেটেঁ স্বল্প মুল্যে ফার্নিচার দোকান মালিকদের বিক্রি করত ঃ বন সাবাড় করেই যাচ্ছে।
পরিবেশবাদীরা আরো জানান, কার্বনডাই অক্সাইড ছাড়া কখনো জীবের প্রাণ বাচাঁনো সম্ভব নয় তাই গাছপালা কাটাঁ জন জীবনে চরম বিপর্যয়। উক্ত দোকানে বেশীর ভাগই ১২ নং পাহাড়ী মৌজার গাছ।
মহেশখালীতে নিয়োজিত বনবিভাগের লোকজন দেখে ও না দেখার বাহানায় থাকে কিন্তু বনবিভাগের লোকজনকে সরকারী বেতনভাতা দিয়ে রেখেছে বনবিভাগের গাছপালা রক্ষার জন্য।
সেই সরকারী ভাবে অর্পিত দায়িত্ব কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীগন বনাঞ্চল উজাড় পাশাপাশি পরিবেশ ধ্বংসকারীদের সাথে গোপন আতাঁত আছে বলে মন্তব্য করছেন এলাকার সচেতন মহল না হয় কি করে প্রকাশ্যে দিন-দুপুরে ট্রাক, জিপ, টেলা, ট্রলিতে করে নিয়মিত বিভিন্ন প্রজাতের গাছ স-মিল থেকে ছিরাই করে ফার্নিচারের দোকানে নিয়ে থাকে।
এলাকার সচেতন মহল জানান, বনবিভাগের অসাধূ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজসে (ন্ব-স্ব বিটের দায়িত্ব প্রাপ্তরা) মোটা অংকের টাকা খেয়ে ডিপো, এসিএফ, র্যাঞ্জ কর্মকর্তা সহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অজান্তে কাঠচোর চক্রের সদস্যদের কাঠ পাচার, পাহাড় কাটাঁ সহ নানান অপকর্ম করার সুযোগ দিয়ে থাকে সেই সুযোগে প্রকাশ্যে কাঠচোর চক্রের সদস্যরা প্রধান সড়ক ভেয়ে বাগান থেকে গাছ কেটেঁ গাড়ী যোগে আনা নেওয়া করে থাকে।
এ ব্যাপারে বনবিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, কাঠচোর চক্রের সাথে বন কর্মকর্তা-কর্মচারী যোগসাজস কতটুকু খতিয়ে দেখা হবে। তা প্রমানিত হলে জড়িতের বিরোদ্ধে বিহীত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Posted ১১:৩৩ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৪ জুলাই ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta