কক্সবাংলা ডটকম(২ জুলাই) :: যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ার আশংকা থাকার পরও রাশিয়ার কাছ থেকে পাঁচটি এডভান্সড এস-৪০০ ত্রিয়াম্ফ বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপনাস্ত্র ব্যবস্থা কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। এ ব্যাপারে ৩৯,০০০ রুপি’র চুক্তিও প্রাথমিকভাবে অনুমোদন করেছে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
শীর্ষ সূত্রগুলো জানায়, প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষা ক্রয় পরিষদ (ডিএসি) এস-৪০০ চুক্তিটি কিছু ‘ছোটখাট পরিবর্তন’সহ অনুমোদন করেছে। সম্প্রতি রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক আলোচনা শেষ হওয়ার পর এই অনুমোদন দেয়া হয়।
একটি সূত্র জানায়, ‘এখন এস-৪০০ ক্রয়ের বিষয়টি ক্লিয়ারেন্সের জন্য অর্থমন্ত্রণালয়ে যাবে এবং প্রধানমন্ত্রী’র নেতৃত্বে মন্ত্রিসভা কমিটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে। আসল চুক্তিটি কখন সই হবে সে সিদ্ধান্তও নেবেন দেশের শীর্ষ রাজনীতিকরা।’
যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে ২+২ সংলাপ দ্বিতীয়বারের মতো বাতিলের ঘোষণা দেয়ার পরদিনই রাশিয়ার কাছ থেকে ক্ষেপনাস্ত্র কেনার চুক্তিটি সইয়ের পথে আরো এক ধাপ এগিয়ে যায়। ৬ জুলাই থেকে ওয়াশিংটনে ওই সংলাপ হওয়ার কথা ছিলো।
এস-৪০০ ক্ষেপনাস্ত্র ব্যবস্থা ৪০০ কিলোমিটারের মধ্যে ৩০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত শত্রুপক্ষের স্ট্রাটেজিক বম্বার, স্টিলথ ফাইটার, গোয়েন্দা বিমান, ক্ষেপনাস্ত্র বা ড্রোন শনাক্ত, অনুসরণ ও ধ্বংস করতে সক্ষম। একে একটি গেম চেঞ্জিং সামরিক ক্রয় বলে মনে করছে ভারত।
২০১৬ সালে গোয়ায় মোদি-পুতিন বৈঠকে পাঁচটি এস-৪০০ সিস্টেম কেনার ব্যাপারে আন্ত:সরকার চুক্তি হয়। চলতি বছরের অস্টোবরে আরেকটি মোদি-পুতিন বৈঠকের আগেই ভারত ও রাশিয়া জটিল এস-৪০০ চুক্তিটি শেষ করতে চাইলেও মঞ্চে হাজির হয়ে ওয়াশিংটন এই চুক্তি সই না করার ব্যাপারে ভারতকে সতর্ক করে দেয়।
রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কেনা প্রতিরোধ করতে যুক্তরাষ্ট্র যে সিএএটিএসএ আইন করেছে তা পাশ কাটিয়ে যাওয়ারও উপায় খুঁজে বের করেছে মস্কো ও নয়া দিল্লি।
এর আগে এক খবরে বলা হয়েছিলো যে, সিএএটিএসএ আইনের কারণে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে ১২ বিলিয়ন ডলারের একটি নতুন সামরিক চুক্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
প্রস্তাব অনুযায়ী চূড়ান্ত চুক্তি সই হওয়ার ২৪ মাসের মধ্যে ভারতের বিমানবাহিনী প্রথম এস-৪০০ স্কোয়াড্রন হাতে পাবে। এর মধ্যে থাকবে ব্যাটেল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম অব কমান্ড পোস্ট ও ল্যান্সার, একুইজিশন এন্ড এনগেজমেন্ট রাডার, এবং অল-টেরেইন ট্রান্সপোর্টার-ইরেকটর-ল্যান্সার ভেহিকেল। প্রতিটির সঙ্গে দুটি ফায়ারিং ইউনিটসহ পাঁচটি স্কোয়াড্রনের সবগুলো হাতে পৌছাবে ৬০ মাসের মধ্যে।
এই ক্ষেপনাস্ত্র ব্যবস্থার দূর-পাল্লার রাডার একই সঙ্গে ১০০ থেকে ৩০০ টার্গেটের উপর নজর রাখতে পারে, যা যুদ্ধের সময় নগর বা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সুরক্ষিত রাখতে পারবে।
Posted ১০:০২ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০২ জুলাই ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta