কক্সবাংলা ডটকম(৬ সেপ্টেস্বর) :: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার পূর্বসূরি বারাক ওবামার আমলে জারিকৃত ডিফার্ড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভালস (ডিএসিএ) আইনটি বাতিল করেছেন।
ড্রিমারস বলে পরিচিত আইনটির বলে শিশু অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে আসা অভিবাসীরা সে দেশে অবস্থান ও নিজেদের বৈধকরণের সুযোগ পেতেন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এক নির্বাহী আদেশবলে আইনটি জারি করেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন সিদ্ধান্তের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকারী ৮০ হাজার কিশোর-তরুণ সে দেশ থেকে বহিষ্কারের ঝুঁকিতে পড়লেন।
খবর গার্ডিয়ান।
মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনস গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএসিএ আইন রদের ঘোষণা দেন। তার ঘোষণার পর পরই ওয়াশিংটন ডিসির শহরতলি এলাকাসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু হয়। পেনসিলভানিয়া এভিনিউয়ে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। বিভিন্ন রাজ্যে শিক্ষার্থী ও অধিকারকর্মীরা ট্রাম্প প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কংগ্রেসম্যানদের কাছে পিটিশন দাখিলের উদ্যোগ নেন।
অ্যারিজোনা রাজ্যে সিনেটর জন ম্যাককেইনকে উদ্দেশ করে লেখা একটি আবেদনে বলা হয়, ডিএসিএ শেষ হলে অ্যারিজোনার ২৭ হাজার ২১১ জন স্বাপ্নিক আমেরিকান বহিষ্কারের ঝুঁকিতে পড়বেন। এছাড়া রাজ্যের আর্থিক ক্ষতি ১৪০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
অভিভাবকের সঙ্গে অথবা পাচার হয়ে বিভিন্নভাবে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছে যাওয়া শিশু-কিশোররা যাতে সে দেশে থেকে বহিষ্কার এড়াতে পারেন, সেজন্য প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ড্রিমার আইনটি করেছিলেন। এ আইনের সুবাদে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া শিশু-কিশোর ও তরুণরা এ আইনের সুবাদে বহিষ্কারাদেশের বিরুদ্ধে আবেদন এবং কমপক্ষে দুই বছর সে দেশে অবস্থানের সুযোগ পেতেন।
দুই বছর পেরোনোর আগে তারা নিজেদের অভিবাসন বৈধকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারতেন। এ সময়ের মধ্যে বৈধ অভিবাসী হতে না পারলে বহিষ্কারাদেশ এড়ানোর মেয়াদ বৃদ্ধির সুযোগও ড্রিমার আইনে রাখা হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় করপোরেট ব্যক্তিত্ব ও উদ্যোক্তারা ড্রিমার আইনকে মার্কিন সমৃদ্ধির চাবিকাঠি বলে অভিহিত করেছেন। ট্রাম্প প্রশাসন আগে থেকেই এ আইন বাতিলের হুমকি দিয়ে আসছিল।
বিরোধীরা বলেছিলেন, ড্রিমার অথবা ডিএসিএ আইন বাতিল হলে যুক্তরাষ্ট্র তার সবচেয়ে সম্ভাবনাময় নাগরিকদের হারাবে, যা মার্কিন অর্থনীতির বিরাট ক্ষতি করবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ড্রিমার আইনটি বাতিল করলেও এরই মধ্যে এ আইনের আওতায় বহিষ্কারাদেশ ঠেকানো ৮০ হাজার অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্রে রাখার একটি পথ খোলা রেখেছেন। ড্রিমার আইনের বিকল্প খুঁজে পেতে কংগ্রেসকে আগামী ৫ মার্চ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন তিনি। এ সময়ের মধ্যে বিকল্প আইন হলে এখনো অবৈধ ৮০ হাজার অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে থাকার সুযোগ পেতে পারেন। অন্যথায় তাদের মার্কিন স্বপ্ন ছাড়তে হবে।
Posted ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta