হাবিবুর রহমান সোহেল,নাইক্ষ্যংছড়ি(১৪ মে) :: রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়ানের দৌছড়ি উত্তর কুল রওশন আলী জামে মসজিদে তৈলার চাদাঁর টাকা ভাগাভাগি ও মোতাওল্লি দাবীকে কেন্দ্র করে বদভর গ্রুপ-আব্দু হরিভর গ্রুপে ভয়াবহ সংঘর্ষে ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছে। এলাকায় এই নিয়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
গত শুক্রবার জোমার নামাজ পড়ার পর পরই মোতাওল্লি দাবীদার ওই দুই গ্রুপের মধ্যে তৈলার চাদাঁর টাকা ভাগাভাগি ও মোতাওল্লি দাবী নিয়ে কথা কাটা হওয়া এক পর্যায়ে দু পক্ষই উত্তেজিত হলে সংঘর্ষ লেগে যায়। এতে ফরিদ আলম পক্ষের লোক জন আহত হয়।
আহতরা হলেন, কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের দৌছড়ির মোকতার আহম্মদের ছেলে ফরিদুল আলম, কালাম বকশু, জাফর আলম, শাহেদা বেগম, নজিবুল্লাহ টিপু।
অন্য পক্ষের মধ্যে আহতরা হলেন, সাবেক মেম্বার নুরুজামান, বদিউ জামান, আবছার কামাল, রিয়াজুল মান্নান ও ইলিয়াছ। আহতরা ককসবাজার জেলা সদর হাসপাতাল সহ জেলার বিভিন্ন হাসপালে ভর্তি আছেন।
ওই এলেকার মাহবুব আলম জানান, রুশন আলী জামে মসজিদ টি ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্টিত হয়। মসজিদটি মোট জমি ৭ কানি যা ৪ টি দলিলে,যার দলিল নং ৫১৭৪/ ৫১৭৫/ ৫১৭৬/ ৫১৭৭,
মাহাবুব আরো জানান, ছিদ্দিক আহম্মদ মসজিদের খাদেম হিসেবে ১৯৭৬ সাল থেকে মসজিদের যাবতীয় টাকা পয়সা তুলে আসছিল। এর পর ওই ছিদ্দিক মারা যাওয়ার পরে তার ছেলে জাফর আলম ওই দায়িত্ব পালন করে আসছে।
এতে কু প্রকৃতির লুভি ও আত্বসাৎকারী বকতার আহম্মদ ও তার দলবল ওই মসজিদের সম্পদ লুটে পুটে খাওয়ার জন্য তাদের উপর পরিকল্পিত হামলা করে এবং মারত্বক আহত করে। এই ঘটনায় আহতরা ককসবাজার জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
একই এলেকার মোক্তার আহম্মদ জানান, ওই হামলা কারীরা স্থানীয় তহসিল অফিসকে ম্যানেজ করে একটি মিথ্যা রিপোর্ট নিয়ে অবৈধভাবে মোতাওল্লি দাবী করে বকতার আহাম্মদ। আর ওই রিপোর্টের বিরুদ্ধে তারা ধর্ম মন্ত্রনালয়ে আবেদন করেছেন বলেও জানান ।
এই ঘটনায় এলেকার সচেতন মহল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রসাশনের হস্তক্ষেপ কামানা করেন।