বুধবার ২৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

বুধবার ২৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

রুশ-ভারত এস-৪০০ চুক্তি বাতিল না করায় অস্বস্তিতে যুক্তরাষ্ট্র

সোমবার, ২৪ জুন ২০১৯
155 ভিউ
রুশ-ভারত এস-৪০০ চুক্তি বাতিল না করায় অস্বস্তিতে যুক্তরাষ্ট্র

কক্সবাংলা ডটকম(২৪ জুন) :: রাশিয়ার তৈরী এস-৪০০ কেনার ব্যাপারে তুরস্ক ও ভারতের দৃঢ় সিদ্ধান্তে ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। এস-৪০০ চুক্তি বাতিল করতে রাজি করানো না গেলে নয়া দিল্লির বিরুদ্ধে ওয়াশিংটন কী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে তা নিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানিয়েছেন ভারতীয় সামরিক পর্যবেক্ষক রাকেশ কৃষ্ণা সিংহা ও যুক্তরাজ্য ভিত্তিক ভূরাজনীতি বিশ্লেষক অ্যাডাম গ্যারি।

যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি সত্ত্বেও রাশিয়ার নির্মিত এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে ফেলেছে তুরস্ক। এরই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে, হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করছে যে এই অস্ত্র কেনা হলে ২০১৭ সালের সিএএটিএসএ আইনের বলে ভারতের ওপর অবরোধ আরোপ করা হবে।

তবে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জুনের প্রথম দিকে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তারা সম্ভাব্য অবরোধ সত্ত্বেও এস-৪০০ চুক্তি বাস্তবায়ন করতে চায়।

প্রাচীন ভারত ও গ্রিসের একটি প্রাচীন প্রবাদবাক্য রয়েছে: ‘ঈশ্বর যাদের ধ্বংস করতে চান, তাদেরকে প্রথমে পাগল বানিয়ে দেন।’ যুক্তরাষ্ট্রও এখন পাগলের মতো আচরণ করছে।

এ তথ্য জানিয়েছেন ভারতীয় সাংবাদিক, পররাষ্ট্রবিষয়ক বিশ্লেষক ও সামরিক পর্যবেক্ষক রাকেশ কৃষ্ণা। তিনি বলেন, কয়েক বিলিয়ন ডলারের এম৭৭৭ আর্টিলারি, নেপচুন সাব হান্টিং এয়ারক্রাফট, সি-১৩০জে হারকিউলিস স্পেশাল অপারেশন্স এয়ারক্রাফটের মতো অত্যাধুনিক সব অস্ত্রের চুক্তি করেও যুক্তরাষ্ট্র এখন তার মিত্রকে শত্রুর মতো করে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, এই মনোভাব ভারতের বিরুদ্ধে কাজ করবে না। কারণ দেশটি ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বাধীন।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, এস-৪০০ চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে এবং সবকিছু নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে মূল্যও পরিশোধ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এস-৪০০-এর জন্য ভারতীয় বিমান বাহিনী ও ভারত সরকার আগ্রহ প্রকাশ করেছিল অনেক দিন থেকেই। কয়েক দশক ধরে অবহেলার শিকার ভারতীয় বিমান প্রতিরক্ষার জন্য এর প্রয়োজন রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এস-৪০০-এর মতো কিছুই নেই। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যেসব অস্ত্র রয়েছে, তারা তা আগেই সংগ্রহ করে ফেলেছে। এগুলো নতুন করে আমদানির করার দরকার পড়বে না।

ভারত গত অক্টোবরে রাশিয়ার কাছ থেকে ৫.৪৩ বিলিয়ন ডলারে ৫টি এস-৪০০ কেনার জন্য রাশিয়ার সাথে চুক্তি করেছে। ওই সময়কার প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস ভারতের জন্য সিএএসটিএসএ আইনে ছাড় দেয়ার কথা বলেছিলেন।

রাশিয়া-ভারত এস-৪০০ চুক্তির পর সাংবাদিকদের ম্যাটিস বলেন, আমরা সবকিছুই নিরসন করব। আমার ওপর ভরসা রাখুন।

অবশ্য ২০১৮ সালে ট্রাম্প প্রশাসন যে ছাড়ের ব্যবস্থা করেছিল তা রাশিয়া থেকে ১৫ মিলিয়ন ডলারের কম মূল্যের অস্ত্র কেনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

অ্যাডাম গ্যারি বলেন, সিএএটিএসএ/৪০০ ইস্যু নিয়ে ভারতের সাথে উচ্চমাত্রার কৌশলগত খেলা খেলছে যুক্তরাষ্ট্র। একদিকে যুক্তরাষ্ট্র বুঝতে পেরেছে যে নয়া দিল্লি তার ভাষায় বহু মেরুর জোট হিসেবে নিজস্ব কৌশলগত খেলা খেলছে। তবে ভারতের কাছে প্রিয় থাকতে যুক্তরাষ্ট্রও অনেক সময় এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে চলছে।

তার মতে, ভারতের প্রতি লাঠি ও মূলার নীতি অবলম্বন করছে যুক্তরাষ্ট্র।

গ্যারি বলেন, রাশিয়ার কাছ থেকে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার ব্যাপারে তুরস্কের দৃঢ় অবস্থানের ফলে ওয়াশিংটনের মধ্যে বড় ধরনের অস্বস্তি সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, মার্কিন কড়া হুমকি সত্ত্বেও এস-৪০০ কেনা নিয়ে তুরস্কের জোরালো সিদ্ধান্তের ফলে যুক্তরাষ্ট্র এখন তার অবস্থান ভাবতে বাধ্য হচ্ছে। আবার ভারত ন্যাটোর সদস্য নয়। ফলে পুরনো বন্ধু তুরস্কের চেয়ে নতুন মিত্র ভারতের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কড়া হুমকি প্রদান করা অনেক সহজ।

এর আগের রজব তাইয়্যিপ এরদোগান স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দেন যে এম-৩৫ বিমান বিক্রি বাতিলসহ যুক্তরাষ্ট্র যে ব্যবস্থাই গ্রহণ করুক না কেন, তারা এস-৪০০ কেনা থেকে বিরত থাকবে না। অবশ্য ১৮ মে তুর্কি প্রেসিডেন্ট ইঙ্গিত দেন যে রুশ ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ও অ্যান্টিব্যালাস্টিক মিসাইল সিস্টেম এস-৫০০ প্রমেটে যৌথভাবে উৎপাদন করতে পারে তুরস্ক। তুরস্ক আগামী মাসেই এস-৪০০ পেতে শুরু করবে।

এখন ভারতের এস-৪০০ কেনা নিয়ে নয়া দিল্লির ওপর অবরোধ আরোপ করলে যুক্তরাষ্ট্র সমস্যায় পড়ে যাবে।

রাকেশ কৃষ্ণা বলেন, ভারত হলো বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্ত্র আমদানিকারক, রাশিয়ার অস্ত্র আমদানিতে শীর্ষে থাকা দেশ। আগামী ৫ বছরে ভারত তার সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক করার জন্য ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কিনতে যাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার অস্ত্র থেকে ভারতকে সরিয়ে নিতে পারলে ওয়াশিংটনের দুটি উদ্দেশ্য হাসিল হবে: রাশিয়ার অস্ত্র শিল্পকে দুর্বল করে দেয়া ও নতুন একটি বড় খদ্দের পাওয়া।

এ ব্যাপারে গ্যারি বলেন, স্বল্প মেয়াদে রাশিয়ার অস্ত্রের ওপরই নির্ভরশীল থাকবে ভারত। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে রাশিয়ার স্থলাভিষিক্ত হয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।

তিনি বলেন, রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কেনা বন্ধ করতে ওয়াশিংটন নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

এদিকে এস-৪০০ ছাড়াও ভারতের নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভার কমিটি ১.৯৩ বিলিয়ন ডলারে রাশিয়া থেকে ৪৬৪টি টি-৯০এমএস মেইন ব্যাটল ট্যাঙ্ক কেনার অনুমতি দিয়েছে। এছাড়া রাশিয়ার কাছ থেকে ২১টি মিগ-২৯ জঙ্গি বিমান ও ক্যামভ কেএ-৩১ এয়ারবোর্ন আর্লি ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল হেলিকপ্টার কেনার বিষয়টি অনুমোদন করেছে।

155 ভিউ

Posted ৮:২২ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৪ জুন ২০১৯

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com