মোসলেহ উদ্দিন,উখিয়া(১ আগস্ট) :: কক্সবাজারের রোহিঙ্গা অধ্যূষিত উপজেলা উখিয়ায় চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য রোহিঙ্গারা মরিয়া হয়ে উঠেছে। নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া ১৩ শর্ত সাপেক্ষে স্থানীয়দের ভোটার হওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও রোহিঙ্গারা ভোটার হওয়ার সুযোগ গ্রহণ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে স্থানীয়রা হতাশা প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া চাহিদামত ফরম সরবরাহ না থাকায় তথ্য সংগ্রহকারীরা পড়েছেন বিপাকে।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার জন্য এ উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৬১ জন তথ্য সংগ্রহকারী ও ১৮ জন সুপারভাইজার গত ২৫ জুলাই থেকে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে, চলবে ৯ আগস্ট পর্যন্ত।
১৩টি তথ্য-উপাত্তসহ শর্ত সাপেক্ষে ভোটার হতে ইচ্ছুক স্থানীয় নাগরিকদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, রোহিঙ্গারা নানা কৌশল অবলম্বন করে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ফরম সংগ্রহ করছে।
পালংখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ মনজুর অভিযোগ করেন, স্থানীয় জনৈক তথ্য সংগ্রহকারী টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের ফরম বিতরণ করছে।
এমন অভিযোগের সত্যতা অস্বীকার করে পালংখালী ৭নং ওয়ার্ডের তথ্য সংগ্রহকারী মোজাম্মেল হক জানান, তাকে দুই দফায় ৬৭টি ফরম দেওয়া হয়েছে। যা চাহিদার তুলনায় অতি নগণ্য। ভোটারদের ফরম দিতে না পারায় তাকে তোপের মুখে পড়তে হয়েছে। এমতাবস্থায় রোহিঙ্গাদের ফরম সরবরাহ দেওয়ার বিষয়টি তিনি অবান্তর বলে দাবি করেন।
পালংখালী ইউনিয়নের ৬, ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপারভাইজার কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান জানান, তিনি এ পর্যন্ত নির্বাচন অফিস থেকে ২৯৮টি ফরম সরবরাহ পেয়েছেন। ন্যূনতম এ সব ফরম নিয়ে ভোটারদের কোনোভাবেই আশ্বস্ত করা যাচ্ছে না বিধায় আরো ৪৫০টি ফরমের জন্য আবেদন করা হয়েছে। নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, তারা ফরম কম পেয়েছেন। সে কারণেই মাঠ পর্যায়ে ফরম কম দেয়া হয়েছে।
ভোটার তালিকা যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাঈন উদ্দিন জানান, রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রমাণ পাওয়া গেলে সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Posted ১:৪৪ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০২ আগস্ট ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta