কক্সবাংলা ডটকম(২২ সেপ্টেম্বর) :: রোহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশের জন্য একেবারে জীবন্ত আগ্নেয়গিরির ওপর বসে থাকার মতো সংকট বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলছেন, এ সংকট সমাধানের জন্য যেমন দরকার সর্বাত্মক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা, তেমনি দরকার সামরিক প্রস্তুতিও চূড়ান্ত করা; যাতে মিয়ানমার সংকট সমাধানে আন্তরিকভাবে ভাবতে বাধ্য হয় এবং এভাবে প্রচেষ্টা চালালেই সংকট সমাধানে মিয়ানমার উদ্যোগী হবে।
২২ সেপ্টেম্বর দুপুরে রাজধানীর প্ল্যানার্স টাওয়ারে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) কনফারেন্স হলে এক তথ্যচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় বিশেষজ্ঞরা এ মতামত দেন।
‘বাংলাদেশে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী: বিদ্যমান অবস্থা ও পরিকল্পনা ভাবনা’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিআইপি।
অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক ছিলেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী অধ্যাপক ড. তাসনিম শাকুর ও ফটো সাংবাদিক ফোজিত শেখ বাবু।
এতে বক্তব্য রাখেন সাবেক সেনাপ্রধান ও সেক্টর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হারুন অর রশীদ, ওয়ার্ল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আব্দুল মান্নান চৌধুরী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের লিভার গ্যাস্ট্রোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, সাবেক সচিব নজরুল ইসলাম খান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, রোহিঙ্গা সংকট তৈরির পর জাতিসংঘসহ বহির্বিশ্ব প্রথমে সঠিক দায়িত্ব পালন করেনি। তারা কেবল মিয়ানমারের প্রতি নিন্দা জানানো ও বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানানোর মাধ্যমে তাদের দায়িত্ব শেষ করেছে। কিন্তু গুরুত্বের সঙ্গে ঘটনা অনুধাবন করেনি। এখন তারা সঠিক অবস্থায় আছে।
বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের স্থায়ী বসবাসের ব্যবস্থা করা যাবে না মতামত দিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন, যত দ্রুত সম্ভব নিরাপত্তার সঙ্গে রোহিঙ্গাদের মানসম্মত প্রত্যাবাসন দরকার। তা না হলে তারা নিজেদের কাজ করার স্পৃহা ও ক্ষমতা হারাবে। অন্যদিকে বাংলাদেশ আক্রান্ত হবে নানা জটিল সমস্যায়।
লে. জেনারেল (অব.) হারুন অর রশীদ বলেন, জাতিসংঘের মাধ্যমে রাখাইনে শান্তিরক্ষী বাহিনী নিয়োগ করে একটি বাফার জোন তৈরি করতে হবে। তারপর রোহিঙ্গাদের সেখানে পাঠাতে হবে।
তিনি বলেন, এখানে (বাংলাদেশ) তাদের বেশি সুবিধা দিলে তারা যেতে চাইবে না। কিন্তু দেশের স্বার্থে তাদের শতভাগ ফেরত পাঠাতে হবে।
Posted ১:৪৪ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta