কক্সবাংলা ডটকম(৭ ফেব্রুয়ারি) :: বাংলাদেশে শোচনীয় অবস্থায় বসবাস করা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দ্রুত প্রত্যাবাসন চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঢাকায় নবনিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত হিরোয়াশো ইজোমি বুধবার সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সমর্থন দেয়ায় জাপানের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘তারা (রোহিঙ্গা) যেভাবে এখানে বসবাস করছে তা ভালো পরিবেশ নয়। আমরা তাদের অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দিয়েছি।’
রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার ইতিমধ্যে রাজি হয়েছে বলেও রাষ্ট্রদূতকে জানান শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যকার সম্পর্ককে ঐহিতাসিক আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেন।
বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগ চেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে যোগাযোগ স্থাপন করেছে। বাংলাদেশে ইতিমধ্যে সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করে নেপাল ও ভুটানকে আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনার প্রস্তাব দিয়েছে।
মাতারবাড়ি বিদ্যুকেন্দ্রে জাপানের সহযোগিতার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে খুবই সহায়ক হবে।
এসময় জাপানি রাষ্ট্রদূত হিরোয়াশো ইজোমি জানান, রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাপান বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এ সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই। সংকট সামাল দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ কূটনৈতিক নীতি ব্যাপকভাবে প্রশংসিত।’
রোহিঙ্গাদের সহায়তায় জাপান দুই কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার সহায়তা দেবে বলেও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ইজোমি।
বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ অনেক অনুকূল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জাপানি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আসতে অনেক আগ্রহী।’
মাতারবাড়ি বিদ্যুকেন্দ্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে জাপান তাদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করবে। সেই সাথে পরিবেশ রক্ষায় সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে।
সাক্ষাতে ২০২২ সালে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে জাপানকে সমর্থন দিতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত।
Posted ১০:৪২ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta