কক্সবাংলা ডটকম :: মিশ্র একটা সময় পার করল হলিউড। কভিড-পরবর্তী সময়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে ইন্ডাস্ট্রি। ব্যবসায়িক দিক থেকে কিছু ক্ষেত্রে বেশ ভালো সিনেমা পাওয়া গিয়েছে। আবার সম্ভাবনা থাকলেও আশানুরূপ ব্যবসা করতে পারেনি সব সিনেমা। তবে কয়েকটি সিনেমার নাম করা যায়, যেগুলো আশানুরূপ ব্যবসা করেছে।
নানা সমস্যায় জর্জরিত ফ্যান্টাস্টিক বিস্টস ফ্র্যাঞ্চাইজি। হ্যারি পটারের এ স্পিনঅফ সিরিজ নিয়ে অনেকে ইতিবাচক হলেও বিতর্ক ও সিনেমার সুর এলোমেলো হয়ে যাওয়ার কারণে এ ফ্যাঞ্চাইজি ব্যর্থ হচ্ছে। কিন্তু এসবের মধ্যেও ‘ফ্যান্টাস্টিক বিস্টস: দ্য সিক্রেটস অব ডাম্বলডোর’ আশা দেখিয়েছিল। সিনেমাটি আয় করেছে ৪০ দশমিক ৫ কোটি ডলার।
ওয়াকান্ডা ফরএভার নিয়ে আশা ছিল অনেক বেশি। কিন্তু আশা পূরণ না হলেও আশাহত হতে হয়নি। ২০১৯ সালের সিনেমা ব্ল্যাক প্যান্থারের সিকুয়েল ওয়াকান্ডা ফরএভার। রায়ান কুগলার দীর্ঘ সময় ধরে এ সিনেমা নিয়ে কাজ করেছেন। দর্শকেরও আগ্রহ ছিল আকাশছোঁয়া। সিনেমাটি মুক্তির পর পরই ভালো ব্যবসা করেছে। ওপেনিংয়ে দারুণ ব্যবসা করে এখন পর্যন্ত আয় করেছে প্রায় ৭৩ দশমিক ২৯ কোটি ডলার। এখনো চলছে এটি। বক্স অফিসে ক্রমাগত সাফল্য দেখিয়েছে মার্ভেল।
ওয়াকান্ডা ফরএভারের আগে বক্স অফিসে সাফল্য পেয়েছিল ‘থর: লাভ অ্যান্ড থান্ডার’। টাইকা ওয়াইটিটি পরিচালিত সিনেমাটি মার্ভেল ভক্তদের সমালোচনার শিকার হয়েছে। তবে বক্স অফিসে ততটা প্রভাব পড়েনি। মুক্তির পর থেকে এখন পর্যন্ত সিনেমার মোট আয় ৭৬ দশমিক শূন্য ৯ কোটি ডলার। ক্রিস হেমসওয়ার্থের সঙ্গে ক্রিশ্চিয়ান বেলের এ লড়াইয়ের গল্পটা অবশ্য এখানেই শেষ। থর হয়তো ফিরবে নতুন গল্প নিয়ে।
ওয়াকান্ডা ফরএভার বাদ দিলে এ বছরের বহুল আলোচিত সিনেমা ছিল ‘দ্য ব্যাটম্যান’। রবার্ট প্যাটিনসনের যেন খোলনলচে পালটে দিয়ে হাজির করলেন ম্যাট রিভস। এমনকি ব্যাটম্যানের থিম বদলেছে অনেক। প্যাটিনসন-ক্র্যাভিটজের জুটি দর্শকমহলে গৃহীত হয়েছে উষ্ণতার সঙ্গে। তার প্রমাণ হলো ডিসি সিনেমা কয়েক বছর ধরেই ধুঁকছে। ওয়ার্নার ব্রোস বেশকিছু সিনেমা বাতিলও করেছে। কিন্তু এর মধ্যেই থরের চেয়ে ভালো ব্যবসা করেছে দ্য ব্যাটম্যান। সিনেমাটির মোট আয় ৭৭ দশমিক শূন্য ৮ কোটি ডলার।
অ্যানিমেশনের দিন যে শেষ হয়ে যায়নি, তার প্রমাণ রাখল মিনিয়নস। গত জুলাইয়ে মুক্তি পায় ‘মিনিয়নস: দ্য রাইজ অব গ্রু’ এবং মুক্তির পর পরই দর্শকের ভালোবাসা পায়। বক্স অফিসে দারুণ ব্যবসা করেছে মিনিয়নস। মোট আয় আনুমানিক ৯৪ কোটি ডলার।
উন্মাদনা যাকে বলে, সেটাই ঘটেছিল বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ অভিনীত ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ইন দ্য মাল্টিভার্স অব ম্যাডনেস সিনেমায়। ট্রেলারে স্যাম রেইমি দর্শকের চমৎকার একটা সিনেমা উপহার দেয়ার ইঙ্গিত দেন। কিন্তু কাটছাঁট থেকে শুরু করে আরো নানা কারণে এটি প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি বলে মনে করেন অনেক মার্ভেলভক্ত। কিন্তু এর মধ্যেই বক্স অফিস থেকে তুলে নিয়েছে ৯৫ দশমিক ৫ কোটি ডলার।
মজার ব্যাপার হলো সুপার হিরো সিনেমার বাইরের দুটো সিনেমা এ বছর সর্বোচ্চ ব্যবসা করেছে। এর মধ্যে একটি ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড ডমিনিয়ন’ ও অন্যটি ‘টপ গান: ম্যাভেরিক’। দুটো সিনেমাই ক্ল্যাসিকের মর্যাদা পাওয়া সিনেমার পরের পর্ব। ১৯৯৩ সালে মুক্তি পাওয়া জুরাসিক পার্কের পরবর্তী পর্ব এ সিনেমা। দর্শকের কাছ থেকে নেতিবাচক রিভিউ পেলেও বক্স অফিসে আয় করেছে ১ বিলিয়ন ডলার। তবে রূপকথা সৃষ্টি করেছেন টম ক্রুজ। ১৯৮৬ সালে মুক্তি পাওয়া তার টপ গানের সিকুয়েল ‘টপ গান: ম্যাভেরিক’ আয় করেছে ১ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। জোসেফ কোসিনস্কির সিনেমাটি ক্ল্যাসিক অ্যাকশন সিনেমার স্মৃতি ফিরিয়ে দিল।
সূত্র: ইয়ন
Posted ২:৩৬ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২২
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta