কক্সবাংলা ডটকম(৩ ডিসেম্বর) :: ঐতিহাসিক মুহূর্তের মুখোমুখি ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। একের পর উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে মহাকাশ গবেষণায় নজির স্থাপন করার পর এবার এই প্রথম চাঁদেও অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ইসরোর গবেষকরা। স্পেস রেসে এতটুকু পিছিয়ে থাকতে রাজি নয় ভারতও। আর তাই এবার চাঁদে মহাকাশযান পাঠাতে পূর্ণশক্তিতে ঝাঁপাচ্ছে ইসরো।
২০১৯-এ সূর্যে মহাকাশযান পাঠানোর কথা আগেই ঘোষণা করে রেখেছে মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র। কিন্তু চন্দ্রাভিযানের এরকম পরিকল্পনা এই প্রথম। শেষবার চিন ২০১৩-তে চাঁদে তাদের যান ইউটু রোভার পাঠায়। কিন্তু ‘চন্দ্রাভিযান ২’ প্রকল্পের অধীনে ভারত আরও বড়মাপের ও আধুনিক ‘রোভার’ পাঠাবে চাঁদের মাটিতে। ২০১৮-র মার্চে চন্দ্রপৃষ্ঠে নামবে ভারতের সর্বপ্রথম লুনার রোভার ‘চন্দ্রায়ণ ২’।
২০০৮-এ শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় চন্দ্রায়ণ ১। সেবার খরচ হয়েছিল প্রায় ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে এই নয়া অভিযান আরও বড়মাপের, আরও আধুনিক। ভারতীয় বৈজ্ঞানিকদের মতে, এটাই আজ পর্যন্ত ভারতের সবচেয়ে বড় ও বহু প্রতীক্ষিত অভিযান হতে চলেছে। ‘চন্দ্রায়ণ ১’ চাঁদের আশেপাশে ‘ম্যাগমাটিক’ জলের অস্তিত্ব খুঁজে পেলেও ২০০৮-এর নভেম্বরে চন্দ্রযানটি আছড়ে পড়ে চাঁদে ও হারিয়ে যায়। ২০১৬-তে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা সেটি খুঁজে পায়।
ওই অভিযান থেকে শিক্ষা নিয়ে ভারত এবার একসঙ্গে তিনটি মহাকাশযান পাঠাতে চলেছে চন্দ্রপৃষ্ঠে। যাবে ছয় চাকার একটি মূল রোভার, একটি অরবিটার ক্রাফট ও একটি ল্যান্ডার। তিনটিই মানববিহীন যান। যানগুলি হবে আধা-স্ময়ংক্রিয়, নির্দেশ যাবে পৃথিবী থেকে। ‘চন্দ্রযান ২’ চাঁদ থেকে বিপুল পরিমাণ তথ্য পাঠাবে ইসরোর গবেষনাগারে। ইসরো সূত্রে খবর, চাঁদের মাটিতে নানা রাসায়নিক পরীক্ষাও চালাবে এই যানটি। ৩২৯০ কিলোগ্রামের ‘চন্দ্রায়ণ ২’-কে ঘিরে তাই আশায় বুক বাঁধছে গোটা দেশ।
Posted ১১:৪২ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta