কক্সবাংলা ডটকম(৭ ডিসেম্বর) :: কোনরকমে আড়াই সেশন পার করতে পারলেই চলতো পাকিস্তানের। ১০ উইকেট হাতে, দারুণ খেলতে থাকা সিরিজটাও বাঁচানোর সুযোগ। কিন্তু দলটা পাকিস্তান, উল্টো দুই সেশনের মাঝে অলআউট হয়ে ম্যাচের সঙ্গে সিরিজটাও নিউজিল্যান্ডের হাতে তুলে দিয়েছে তারা!
৪৯ বছর পরে সফরকারী হয়েও সিরিজ জিতলো নিউজিল্যান্ড। এমনিতে নিজেদের দেশে খেলা হলে এশিয়ার দেশকে বলে-কয়ে হারাতে পারে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু এশিয়ার কন্ডিশনে এসে ভারত-পাকিস্তান কিংবা শ্রীলংকা থেকে জিতে ফেরা কঠিন কিউইদের জন্য। আমিরাত আবার পাকিস্তানের ঘরের মাঠ নয়। কিন্তু ঘরের মাঠ বনে গেছে তাদের। আর তাই পাকিস্তানকে তাদেরই কন্ডিশনে এসে প্রায় ৫০ বছর পরে ২-১ ব্যবধানে টেস্ট হারালো ব্লাক ক্যাপসরা।
আবুধাবি টেস্টের পঞ্চম দিনে পাকিস্তানকে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫৬ রানে অলআউট করে ১২৩ রানে ম্যাচ জিতেছে কিউইরা। সঙ্গে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১এ জিতে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ৪৯ বছর পর পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের বাইরে সিরিজ জিতল তারা।
অথচ দিনটা ধাক্কা দিয়েই শুরু সফরকারীদের। প্রায় দেড়দিন ব্যাট করা অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন এদিন কোনো রান যোগ না করেই ফেরেন সাজঘরে, ১৩৯ রানে। তবে অধিনায়ক ফিরলেও দায়িত্ব কাঁধে তুলে কিউদের বড় সংগ্রহ পাইয়ে দেন হেনরি নিকোলস।
ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরির পথে ১২৬ রানে অপরাজিত ছিলেন এ মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৫৩ রান করা নিউজিল্যান্ড প্রথম সেশনে ইনিংস ঘোষণা করলে পাকিস্তানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৮০।
তিনশর কাছাকাছি লক্ষ্য তাড়া না করে ড্রয়ের পথে হাঁটলেই সিরিজটা বাঁচাতে পারতো পাকিস্তান। কিউই বোলারদের তোপে দলটির ব্যাটসম্যানরা হাঁটলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে।
এই টেস্টের পরেই অবসরের ঘোষণা দিয়ে রাখা মোহাম্মদ হাফিজকে বোল্ড করে শুরুর ধাক্কাটা দেন টিম সাউদি। পরে দুই স্পিনার অ্যাজাজ প্যাটেল ও উইলিয়াম সমারভিলকে সঙ্গী করে গুঁড়িয়ে দেন প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইনআপও।
তিনটি করে উইকেট ভাগাভাগি করেছেন সাউদি, সমারভিল ও প্যাটেল। বাকি উইকেটটি নিয়েছেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। পাকিস্তানের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫১ রানের প্রতিরোধ আসে বাবর আজমের ব্যাটে।
Posted ৮:০৮ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta