রবিবার ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

রবিবার ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

কমছে এলসি খোলার প্রবৃদ্ধি

সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩
47 ভিউ
কমছে এলসি খোলার প্রবৃদ্ধি

কক্সবাংলা ডটকম :: দীর্ঘদিন ধরে চলমান ডলার সংকট সাম্প্রতিক সময়ে আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। সংকট সমাধানে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রি করলে রিজার্ভের মজুতে টান পড়ে। তা সামাল দিতে গত অর্থবছরের শুরু থেকে আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করে সরকার।

বিভিন্ন পণ্যের এলসি খোলা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এতে আমদানিতে তাৎক্ষণিক এর প্রভাব দেখা না গেলেও গত বছরের অক্টোবর থেকে প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। এরপর থেকে ক্রমাগতভাবে কমছে এলসি খোলার প্রবৃদ্ধি।

ফলে শিল্পের মূলধনী যন্ত্রপাতিসহ নিত্যপণ্য আমদানি হ্রাস পাওয়ায় দেশে পণ্যের দামও হু হু করে বেড়েই চলেছে। এ ছাড়া এলসি খুলতে না পারায় দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়েও আমদানি-বাণিজ্য কমে গেছে। আমদানি কম হওয়ায় বেনাপোল কাস্টমস হাউজে রাজস্ব আদায়ে ধস নেমেছে।

ওদিকে বিশ্বজুড়ে শ্রম অধিকার নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতি ঘোষণায় চিন্তিত ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের মাঝে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, গত অর্থবছরের শেষ দিকে আমদানি প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক ধারা ছিল সবচেয়ে বেশি। সেই সময় ডলারের সংকটও ছিল তীব্র। বেশকিছু এলসি খোলার আবেদন প্রত্যাখ্যানও করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মধ্যে দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও ডলার সংকট নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাংক। উদ্যোগ নেয়া হলেও ব্যর্থ হয়েছে।

এতে সংকট আরও গভীর হয়েছে, যার প্রভাবে চলতি অর্থবছরের আমদানি প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক ধারায় রয়েছে।

এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে আমদানি দায় পরিশোধের পর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন নেমে এসেছে ১৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। চাহিদামতো এলসি খুলতে না পেরে এখন শিল্প কাঁচামাল, নিত্যপণ্য ও মূলধনী যন্ত্রপাতির মতো অত্যাবশ্যকীয় আমদানিও কমিয়ে দিয়েছেন অনেক উদ্যোক্তা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে (জুলাই-অক্টোবর) পণ্য আমদানিতে এলসি খোলা কমেছে ১১.২২ শতাংশ । এ ৪ মাসে পণ্য আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে মোট ২ হাজার ১৮২ কোটি ডলারের। যেখানে গত অর্থবছরের একই সময় এলসি খোলা হয়েছিল প্রায় ২ হাজার ৪৬৬ কোটি ডলারের।

এ সময় ব্যাংকগুলোর এলসি নিষ্পত্তিও কমেছে ২৪ শতাংশের বেশি। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে ব্যাংকগুলো এলসি নিষ্পত্তি করেছিল ২ হাজার ৮৯৪ কোটি ডলারের। সেখান থেকে কমে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে তা নেমে এসেছে ২ হাজার ১৯৭ কোটি ডলারে। এ ছাড়া চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত একটানা ১২ মাস ধরে আমদানিতে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি চলে আসছে।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, মূলধনী যন্ত্র ও কাঁচামাল দুটোরই আমদানি কমে গেছে। উৎপাদনের যে সক্ষমতা আছে, গ্যাস-সংকটের কারণে তা-ও ব্যবহার করা যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে অর্থনীতি বড় ধরনের সংকটের দিকে যাচ্ছে।

চলমান ডলার সংকট ও এলসি বিড়ম্বনাকে এখন শিল্প খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন উদ্যোক্তারা। ভোগ্যপণ্য আমদানিকারকরা জানান, ব্যাংকগুলো এলসি খুলতে নানা ধরনের শর্ত দিচ্ছে। তাদের মতে, একদিকে উৎপাদন কমছে, অন্যদিকে মূল্যস্ফীতির কারণে ভোগ্যপণ্যের বিক্রিও কমছে।

মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, ব্যাংকগুলো এলসি খোলা কমিয়ে দিয়েছে। চাহিদামতো ডলারের সংস্থান না হওয়া বা এলসি খুলতে না পারায় শিল্প কাঁচামালের আমদানি কমেছে। স্বাভাবিকভাবেই উৎপাদন ব্যবস্থার ওপরও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

এদিকে দেশের পোশাক খাতসংশ্লিষ্টদের মতে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর বিধিনিষেধ ও ভিসা নীতির পর শ্রম অধিকার ইস্যুকে কেন্দ্র করে দেয়া বক্তব্যটি এখন বড় শঙ্কার কারণ হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও পোশাক খাতের ন্যূনতম মজুরি নিয়ে শ্রমিক বিক্ষোভের ঘটনা প্রবাহের পর ঘোষিত এ স্মারক এখন উদ্যোক্তাদের নতুন করে ভীত করে তুলছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শ্রমিকদের ক্ষমতায়ন, শ্রম অধিকার ও শ্রমিকদের মানসম্মত জীবনযাপন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি স্মারকে (প্রেসিডেনশিয়াল মেমোরেন্ডাম) সই করেছেন।

গত বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, বিভিন্ন দেশের সরকার, শ্রমিক, শ্রমিক সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন, সুশীল সমাজ ও বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করে আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষায় কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র।

তিনি বলেন, যারা শ্রমিকদের অধিকারের বিরুদ্ধে যাবেন, শ্রমিকদের হুমকি দেবেন, ভয় দেখাবেন, তাদের ওপর প্রয়োজনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।

বিকেএমইএ’র সাবেক সভাপতি ফজলুল হক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এ নীতি নিয়ে অনেকের মধ্যে দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এককভাবে বাংলাদেশের জন্য এ পদক্ষেপ নেয়নি। তবু পুরো বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি সব পর্যায়ে যোগাযোগ বাড়াতে হবে।

47 ভিউ

Posted ১:৪৯ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com