কক্সবাংলা ডটকম :: বাংলাদেশে প্রতি বছর পাঁচ হাজার লোক নতুন করে কোটিপতি হচ্ছে বলে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।
শনিবার রাতে অর্থনীতি সমিতি আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনায় বর্তমানে দেশের বৈষম্য ও অসমতার উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন,‘আমার হিসাবে দেশে এখন প্রতি বছর পাঁচ হাজার লোক নতুন করে কোটিপতি হচ্ছে। এতেই বোঝা যায়, বাংলাদেশে ধনী-গরীবের বৈষম্য কীভাবে বাড়ছে, আমাদের কতোটা নৈতিক অবক্ষয় হয়েছে, সামজিক অবক্ষয় হয়েছে।’
আলোচনায় ফরাসউদ্দিন জানান, দেশের ব্যাংকগুলোয় ৪৩ হাজার গ্রাহকের হিসাবে আছে মোট আমানতের অর্ধেক পরিমাণ অর্থ। তবে এই তথ্যটি তার নিজের নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আবুল বারকাতের সদ্য প্রকাশিত বড় পর্দায় সমাজ-অর্থনীতি-রাষ্ট্র: ভাইরাসের মহাবিপর্যয় থেকে শোভন বাংলাদেশের সন্ধানে গবেষণাগ্রন্থটির উপর এক ওয়েবিনার আলোচনায় ফরাসউদ্দিন এই তথ্য দেন।
তিনি বলেন, ‘বৈষম্যর সবচেয়ে খারাপতর রূপ হলো সুযোগের বৈষম্য। বাংলাদেশে আড়াই কোটি মানুষ কর দেয়ার যোগ্য; কিন্তু কর দেন ২৫ লক্ষ মানুষ।
‘সমাজকে আরও শোভন করার জন্য শিক্ষার মান উন্নয়ন করতে হবে। কুদরত ই খুদার শিক্ষা কমিশনের আলোকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মাতৃভাষায় একমুখী শিক্ষার প্রচলন করতে হবে। বৃত্তিমূলক শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের বড় অংশকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’
মহামারি করোনাভাইরাসের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের সমালোচনা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক এই গভর্নর বলেন, ‘প্রণোদনা প্যাকেজের সুবিধাভোগী সম্পর্কে সরকারের কতটুকু নজর আছে এই বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই। ২৫ লাখ ক্ষুদ্র ও অতি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের প্রণোদনা প্যাকেজের সুবিধা দিতে ব্যাংকের ম্যানেজাররা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। তারা চেনা জানা লোকজনদেরই ঋণ দিতে ইচ্ছুক।’
‘এই সমস্যা সমাধানে বিসিক, এসএমই ফাউন্ডেশন, পিকেএসএফের মতো রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতায়িত করতে হবে। প্রয়োজনে এসব উদ্যোক্তাদের ১ শতাংশ সুদে ঋণ দিতে হবে এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ডের আশ্রয় নিতে হবে।’
Posted ২:০৪ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৩ মে ২০২১
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta