শনিবার ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

শনিবার ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

সুদহার কমানোর ঘোষণায় সঞ্চয়পত্র বিক্রির হিড়িক

শনিবার, ২৭ মে ২০১৭
589 ভিউ
সুদহার কমানোর ঘোষণায় সঞ্চয়পত্র বিক্রির হিড়িক

কক্সবাংলা ডটকম(২৬ মে) :: সুদহার কমানোর বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ঘোষণার পর সঞ্চয়পত্র বিক্রির হিড়িক পড়েছে। গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসে গিয়ে সঞ্চয়পত্র কেনার দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।

বিক্রির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় সাম্প্রতিক সময়ে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি এমনিতেই অনেক বেশি। সুদহার কমানোর ঘোষণার পর তা আরও বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের ১০ মাসেই লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণেরও বেশি নিট বিক্রি হয়েছে। সুদহার কমানোর বিষয়ে গত রোববার অর্থমন্ত্রীর ঘোষণার পর গত চার দিনে বিক্রি ও পুনঃবিনিয়োগ ব্যাপক হারে বেড়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সাধারণত সার্কুলার জারির দিন থেকে সঞ্চয়পত্রের নতুন সুদহার কার্যকর হয়। কবে নাগাদ নতুন সার্কুলার হবে সে বিষয়ে এখনও সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি। যদিও অর্থমন্ত্রী বলেছেন, আগামী বাজেটের পর সঞ্চয়পত্রের সুদ কমানো হবে। এরপরও যে কোনো দিন সুদহার কমানোর সার্কুলার হতে পারে_ এমন আশঙ্কায় সঞ্চয়কারীরা সঞ্চয়পত্র কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। এর আগে সর্বশেষ ২০১৫ সালের ২৩ মে সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমিয়েছিল সরকার।
সংশ্লিষ্টরা জানান, মেয়াদি আমানতে সরকারি ব্যাংকগুলো এখন সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ সুদ দিচ্ছে। অধিকাংশ ব্যাংকের সুদহার প্রায় একই রকম। সব মিলিয়ে গত মার্চে ব্যাংকগুলোর আমানতের গড় সুদহার নেমে এসেছে ৫ দশমিক শূন্য ১ শতাংশে। অথচ সঞ্চয়পত্রে টাকা খাটিয়ে সুদ পাওয়া যাচ্ছে ১১ দশমিক শূন্য ৪ থেকে ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ পর্যন্ত। এর ফলে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ব্যাপক হারে বেড়ে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হচ্ছে। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি হয়েছে ৪২ হাজার ৯৮ কোটি টাকা।
সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে এবার ১৯ হাজার ৬১০ কোটি টাকা ঋণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সরকারের। গত অর্থবছরের মূল বাজেটে ১৫ হাজার কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও পরে তা বাড়িয়ে ২৮ হাজার কোটি টাকা করা হয়। তবে অর্থবছর শেষে বিক্রি দাঁড়ায় ৩৩ হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা।

গত রোববার অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ঢাকা চেম্বারের নেতারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সুদহার কমলেও এখনও বিনিয়োগের বড় প্রতিবন্ধকতা ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদহার। সঞ্চয়পত্রে সুদহার বেশি থাকায় ঋণের বাজারে একটা অসামঞ্জস্যতা তৈরি হয়েছে। বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সঞ্চয়পত্র সুদহার নির্ধারণের দাবি জানান তারা।

জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, সঞ্চয়পত্রে সুদহার বেশি থাকার বিষয়টি ঠিক। অবশ্য এটা সবসময়ই ছিল। এখন একটু বেশি। আগামী বাজেটের পর এটা কমানো হবে।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, সঞ্চয়পত্র কেনার দীর্ঘ লাইন। সঞ্চয়পত্র কিনতে আসা রাবেয়া খাতুন জানান, বেসরকারি খাতের একটি ব্যাংকে মেয়াদি আমানতে তার ১৭ লাখ টাকা ছিল। আগামী জুলাইতে এ আমানতের মেয়াদ পূর্তি হবে। তবে সুদহার কমানোর বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের পর তড়িঘড়ি করে ওই আমানত ভাঙিয়ে এনেছেন। লাইনে দাঁড়ানো অন্য অনেকে তার মতোই তথ্য জানান।

বাজেট ঘাটতি মেটাতে প্রতি বছরই অভ্যন্তরীণ উৎসে ব্যাংকের পাশাপাশি সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে ঋণ নেওয়ার একটি লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে সরকার। ২০১০-১১ সালের দিকে সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে লক্ষ্যমাত্রার ধারেকাছেও যেতে পারত না সরকার। তখন ব্যাংক ও শেয়ারবাজারের দিকেই বেশি ঝুঁকতেন সঞ্চয়কারীরা। তবে শেয়ারবাজারে ব্যাপক ধস ও ব্যাংকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ২০১২ সালের শুরুর দিকে সঞ্চয়পত্রের সুদহার বাড়িয়ে দেয় সরকার।

এরপর ব্যাংক ঋণের সুদহার ব্যাপকভাবে কমতে থাকায় ২০১৫ সালের ২৩ মে সব ক্ষেত্রে আবার কমানো হয়। ওই দিন থেকে সুদহার কমিয়ে পরিবার সঞ্চয়পত্রে ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে সুদ কমিয়ে ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ করা হয়। পেনশনার সঞ্চয়পত্রে ১৩ দশমিক ১৯ থেকে ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়।
পর্যায়ক্রমে ডাকঘর সঞ্চয়পত্রে ১৩ দশমিক ২৪ থেকে কমিয়ে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশে, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে ১৩ দশমিক ১৯ থেকে কমিয়ে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে ১২ দশমিক ৫৯ থেকে কমিয়ে ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়।

ব্যাংকের আমানতের সঙ্গে ঋণের সুদহারও কমে সাম্প্রতিক সময়ে প্রথমবারের মতো সিঙ্গেল ডিজিটে নেমেছে। বর্তমানে ব্যাংক থেকে সরকার ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ সুদে স্বল্পমেয়াদি ঋণ পাচ্ছে। আর দীর্ঘমেয়াদি ঋণ পাওয়া যাচ্ছে ৭ শতাংশের কম সুদে। তবে সঞ্চয়পত্র থেকে বিপুল পরিমাণের ঋণের কারণে এর সুফল পাচ্ছে না সরকার। চাহিদার চেয়ে সঞ্চয়পত্র থেকে বেশি অর্থ আসায় এবারে ব্যাংক থেকে সরকার যে পরিমাণ ঋণ নিয়েছে, পরিশোধ করেছে তার চেয়ে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা বেশি।

589 ভিউ

Posted ১২:৪৮ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৭ মে ২০১৭

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com