শনিবার ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

শনিবার ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

দেশের ২৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্কতা

সোমবার, ০৫ আগস্ট ২০১৯
233 ভিউ
দেশের ২৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্কতা

কক্সবাংলা ডটকম(৪ আগস্ট) :: দেশের ২৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্কতা জারির চিন্তাভাবনা চলছে। এ ব্যাপারে ঈদের আগেই বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) গণবিজ্ঞপ্তি আসছে। ভর্তি মৌসুম সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের সচেতন করতেই এ বিজ্ঞপ্তি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। চিহ্নিত এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কয়েকটির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ক্যাম্পাস চালানোর অভিযোগ আছে। কোনোটির বিরুদ্ধে আছে অননুমোদিত প্রোগ্রাম চালানোর অভিযোগ। কয়েকটি আবার শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের নির্দেশপ্রাপ্ত।

সনদ বাণিজ্যসহ নানা অপরাধে কয়েকটি অভিযুক্ত এবং বন্ধ ঘোষিত। কিন্তু উচ্চ আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে সেগুলো চলছে। মালিকানা দ্বন্দ্বের অভিযোগও কয়েকটির বিরুদ্ধে। বন্ধের সুপারিশপ্রাপ্তও আছে কয়েকটি।

ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, যেসব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশ্নবিদ্ধ, আইন লঙ্ঘন করে প্রোগ্রাম ও ক্যাম্পাস চালাচ্ছে সেগুলোতে শিক্ষার্থীরা যাতে ভর্তি না হন সেজন্য গণবিজ্ঞপ্তির চিন্তা করছি। আমাদের মূল লক্ষ্য কেউ যেন কোথাও আন্দাজে ভর্তি হয়ে প্রতারিত না হয়, সে ব্যাপারে সজাগ করা। তিনি বলেন, এ ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে ছাত্রছাত্রীরা বিপদে পড়বে। তাদের সনদ বৈধ হবে না।

সংস্থাটির সদস্য (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন বলেন, গণবিজ্ঞপ্তি ইউজিসির রুটিন কাজের একটি। ঈদের আগেই বিজ্ঞপ্তিটি জারি করব।

কর্মকর্তারা বলছেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ব্যয় অনেক। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা যাতে প্রতারিত না হয়, সেজন্যই এ গণবিজ্ঞপ্তি। এতে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে তথ্য যাচাইয়ের নির্দেশনা থাকে। কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে বা সনদ নিলে তা কাজে লাগে না।

এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয় বা ইউজিসি কোনো দায় নেবে না। কেননা, চাকরিদাতারা প্রায়ই ইউজিসি থেকে সনদ সত্যায়ন করে থাকে। কেউ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য শিক্ষাবর্ষের আগেই তথ্য জানানোর ব্যবস্থা করা হয়।

গণবিজ্ঞপ্তি সংস্থার ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। তবে ওই বিজ্ঞপ্তি থেকে নাম কাটাতে প্রভাবশালীরা তৎপর রয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত কেউ লাভবান হবে না বলে জানিয়েছেন ইউজিসি চেয়ারম্যান।

গণবিজ্ঞপ্তিতে ভিসি, প্রোভিসি ও কোষাধ্যক্ষ না থাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ব্যাপারেও সতর্ক করা হবে। কেননা, বাংলাদেশে এখনও বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা বৈধ নয়। সনদে স্বাক্ষরের দায়িত্ব ভিসির। তাই যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নেই সেগুলোতে সনদের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে থাকে।

১০৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৯৫টির কার্যক্রম চালু আছে। এ চালু বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২৫টির ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি আসবে। এ মধ্যে নতুন ৯টির কার্যক্রমই শুরু হয়নি।

এগুলো হচ্ছে- ঢাকার রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জের রূপায়ন একেএম শামসুজ্জোহা বিশ্ববিদ্যালয়, জেডএনআরএফ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস, রাজশাহীর আহছানিয়া মিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহীর শাহ মখদুম ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটি, খুলনা খান বাহাদুর আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশালের ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি, ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিভার্সিটি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি কর্মকর্তারা জানান, অনুমোদন পাওয়ার পরে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর জন্য অনুমতি নিতে হয়। এগুলো সেই অনুমতি পায়নি।

সূত্র জানায়, ইউজিসির প্রস্তাবিত তালিকায় ঠাঁই পাওয়াদের একটি হল ইবাইস। এটিতে মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব আছে। বর্তমানে এটি ঠিকানাবিহীন। মালিকানা দ্বন্দ্ব এবং আদালতে মামলা আছে আরও ৪টিতে। এগুলো হল- সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এবং সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। শেষটির ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা ছিল।

ইউজিসির মতামত ছাড়াই দু’বছর আগে রহস্যজনক কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ওই নিষেধাজ্ঞা জারি করে। আবার ইউজিসির সঙ্গে আলাপ ছাড়াই ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা তুলতে রোববার ইউজিসিকে চিঠি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নানা অভিযোগে ২০০৬ সালে সরকার ৬টি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়। পরে উচ্চ আদালতের রায় পক্ষে গেলে সেই আলোকে চলছে আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি এবং দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা।

এর মধ্যে প্রথমটির বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ ক্যাম্পাস চালানোর অভিযোগ ছিল। সেগুলো উচ্ছেদে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পুলিশ বিভাগকে অনুরোধ করে চিঠি দেয়া হয়।

ইউজিসি সূত্র জানায়, আগে যেই অভিযোগে সরকার এটি বন্ধ করে দেয়, সেই ধরনের তৎপরতা বিশ্ববিদ্যালয়টি এখনও চালাচ্ছে। এক কর্মকর্তা জানান, এটি প্রতিষ্ঠাকালীন ক্যাম্পাসের ঠিকানা বনানী হলেও পরবর্তীতে বারিধারা নর্দায় ঠিকানা স্থানান্তরের কথা বলা হয়।

ওই ঠিকানায় আকস্মিক পরিদর্শনে গিয়ে ইউজিসির টিম সনদ বাণিজ্যের প্রমাণ পায়। ক্যাম্পাসে আইনে বর্ণিত পর্যাপ্ত জায়গাও নেই। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে প্রায় ৮ মাস আগে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ওই বছর কুইন্স নামে আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ও বন্ধ করা হয়েছিল। মামলার রায় নিয়ে এটিও পরিচালনার অনুমতি পায়। কিন্তু শর্ত অনুযায়ী এক বছরের মধ্যে এটির কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি বলে ইউজিসি সূত্র জানায়।

বন্ধ ঘোষণার ৮ বছর পর ২০১৪ সালে আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে মামলা করে দ্য ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা। পরে বন্ধের আদেশের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় কার্যক্রম চালুর অনুমতি দেয়। কার্যক্রম শুরুর পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস/ভবনে বিদ্যমান অবকাঠামোগত সুবিধাসহ আইনে বর্ণিত অন্য শর্ত পূরণের অগ্রগতি সরেজমিন পরিদর্শনের লক্ষ্যে ইউজিসি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়। ওই চিঠির ওপরও আরেকটি মামলা ঠুকে দেয় প্রতিষ্ঠানটি।

এ মামলার ওপর বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থগিতাদেশ পায়। পরে স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে ইউজিসি আপিল করেছে। এভাবে মামলা আর পাল্টা মামলা চলছে। ২০১৭ সালের এপ্রিলে সরকার হাইকোর্টের নির্দেশে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়। এ কথাটিও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করার নির্দেশনা আছে বলে ইউজিসি সূত্র জানায়। সূত্র জানায়, তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় অননুমোদিত ক্যাম্পাস চালাচ্ছে।

ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া বনানীর ১৭ নম্বর রোডে অননুমোদিত ক্যাম্পাস চালাচ্ছে। এছাড়া মানিকগঞ্জে স্থাপনের অনুমতিপ্রাপ্ত এনপিআই ইউনিভার্সিটি ঢাকায় ফার্মগেটে ক্যাম্পাস চালাচ্ছে অনুমতি ছাড়াই। বরিশালের ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজও চালাচ্ছে অবৈধ ক্যাম্পাস। ইউজিসি গত কয়েক মাসে দুটি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়ার সুপারিশসহ প্রতিবেদন পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে।

সেগুলো হচ্ছে ফরিদপুরের টাইম ইউনিভার্সিটি এবং চুয়াডাঙ্গার ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি। এগুলো ইউনিভার্সিটি পরিচালনা সংক্রান্ত আইনের বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘন করে চলছে বলে ইউজিসির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে। শরীয়তপুরের জেডএইচ সিকদার বিশ্ববিদ্যালয় ও সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয় অননুমোদিত প্রোগ্রাম চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে ইউজিসি। এর মধ্যে পরেরটি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উচ্চ আদালতে একাধিক মামলা চলমান।

ইউজিসি সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ২৬ এপ্রিল ইউজিসি একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেই বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আদালতে রিট করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এক আদেশে বিবিএ, এনভায়রমেন্টাল সায়েন্স, এমবিবিএস, বিডিএস এবং ফিজিওথেরাপি প্রোগ্রামগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়টি অনুমোদন করার জন্য ইউজিসিকে নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের স্টে অর্ডার থাকা পর্যন্ত উক্ত বিষয়গুলো ওয়েবসাইটে সন্নিবেশিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

233 ভিউ

Posted ১০:৩৭ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০৫ আগস্ট ২০১৯

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com